বিশেষ প্রতিনিধিঃ
সিরাজদিখান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক সঙ্কটে, সেবা বঞ্চিত রোগীদের ভোগান্তির শেষ নেই, দেখারও কেউ নেই। ২১ জন চিকিৎসক থাকার কথা থাকলেও রয়েছে মাত্র ৮ জন চিকিৎসক। আরো কয়েকজন ঢাকা অফিসে ডিউটি করেন বেতন নিচ্ছেন এখান থেকেই।
আবার এমনও অভিযোগ রয়েছে কয়েকজন চিকিৎসক নিয়মিত আসেন না। এক জন চিকিৎসক প্রতি রবি ও বুধবার আসেন বলে জানা যায়। তাই এ দু’দিন হাসপাতালে রোগীদের লম্বা লাইন দেখা যায়। ভীরের কারনে হাসপাতালে রোগী ও স্বনদের স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না।
অনেক রোগী ও স্বজনরা জানান, এ হাসপাতালে ভোগান্তির শেষ নেই। ২ নং রুমে বসেন মহিলা ও শিশুদের ডাক্তার প্রতি বুধবার ও রবিবার আসেন, তাই এ দুইদিন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে খুব ভীর হয়। লাইনে গাদাগাদী করে দাড়ানোর কারণে সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখা সম্ভব হয় না।
স্বাস্থ্যবিধির চিন্তা করলে লাইনে দাড়ানো যাবে না ডাক্তার দেখানো হবে না। আরো অনেকে জানান রোগী অনেক বেশি সে তুলনায় ডাক্তার নাই, তাই আমরা অনেক সমস্যায় আছি। করোনার মধ্যে দুরের কোন হাসপাতালে যাওয়া সম্ভব না। তাই কষ্ট করে ঘন্টার পর ঘন্টা লাইনে দাড়িয়ে ডাক্তার দেখানে হয়।
এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. বদিউজ্জামান জানান, ৮ জন চিকিৎসক দিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এদের ৩০ ঘন্টা করে ডিউডি তাই পর্যায়ক্রমে রেষ্ট দিতে হয়। এছাড়া কয়েকজন ঢাকায় ডিউটি করেন বেতন এখান থেকেই নেয়। ২১ জন চিকিৎসক থাকার কথা। সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষকে বহুবার চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছে।
অনেক সময় রোগীদের চাপ বেড়ে যায়। তখন স্বাস্থ্যবিধি ঠিক রাখা সম্ভব হয় না। রোগীদের বুঝাতে গেলে তারা রেগে যান।
0 মন্তব্যসমূহ