আশরাফুল ইসলাম গাইবান্ধাঃ
গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ীতে ফোরলেন সড়ক সম্প্রসারণের লক্ষ্যে ভূমি অধিগ্রহণে পার্শ্ববর্তী গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার অভিরাম, দরবস্ত, রামপুর মৌজাসহ কোমরপুর এলাকার চেয়ে জুনদহ বাজার এলাকায় পশ্চিম গোপিনাথপুর ও দুবলাগাড়ী মৌজায় জমিসহ অবকাঠামোর মূল্য কর্তৃপক্ষ অত্যন্ত কম মুল্য নির্ধারণ করায় এরপ্রতিবাদ ও জমির উচিৎ মুল্যের দাবীতে ক্ষতিগ্রস্ত জমি মালিকেরা ২৬ আগস্ট বুধবার দুপুরে জুনদহ বাজার এলাকায় জাতীয় মহাসড়কে একটি মানববন্ধন করেছে।
অধিগ্রহণকৃত জমি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিকেরা এ মানববন্ধনের আয়োজন করে। অধিগ্রহণকৃত জমির মালিক হাবিবুর রহমান লাভলুর নেতৃত্বে¡ জমির প্রকৃত মূল্য নির্ধারণের দাবী জানিয়ে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন সৈয়দ আওরঙ্গজেব আলম, মতিয়ার রহমান, আবুল কালাম আজাদ, আতিয়ার রহমান, খয়বর আলী, আঃ মান্নান, রফিকুল ইসলাম ।
বক্তারা বলেন, পাশ্ববর্তী অভিরামপুর, রামপুর মৌজায় বানিজ্যিক প্রতি শতাংশ জমির মুল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৩ লাখ টাকা। অথচ একই এলাকায় পশ্চিম গোপিনাথপুর, দুবলাগাড়ী মৌজায় একই শ্রেণীর প্রতি শতাংশ জমির মুল্য নির্ধারণ করা হয়েছে মাত্র ৩৫ হাজার টাকা। এছাড়া বসতবাড়ীর জমির মূল্য ১৪ হাজার টাকা এবং ডাঙ্গা জমির মুল্য ২৩ হাজার ৬ শত ৫২ টাকা নির্ধারণ করে ৮ ধারায় নোটিশ প্রদান করা হয়েছে যা অত্যন্ত দূংখ জনক ।
নোটিশ পেয়ে জমির মালিক ও ব্যবসায়ীরা জমির মুল্য বাড়ানোর জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। এসময় বক্তারা আরো উল্লেখ করেন জমি অধিগ্রহণ কালে কর্মকর্তারা সঠিকভাবে জমির মালিক ও ভাড়াটিয়াদের নাম সংগ্রহ না করার ফলে সাজুর জমির মার্কেটের দোকানদার নজরুল ইসলাম, জামিরুল ইসলাম, সুবাশ চন্দ্র, আঃ রশিদ বাবু মিয়াসহ অনেকের নাম বাদ পড়ায় তারা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
মানববন্ধনে জমির মালিক, ব্যবসায়ী ও এলাকার প্রায় শতাধিক ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন। এসম তারা আরো বলেন প্রয়োজনে আমরা জীবন দিবো তবু বৈষম্য মুলক দরে জমি দিবো না।
0 মন্তব্যসমূহ