মোঃ কামরুল ইসলাম কামু পঞ্চগড়ঃ
পঞ্চগড়ে বনায়ন বিভাগ উপকারভোগিদের সমন্বয়ে পঞ্চগড়-দিনাজপুর মহাসড়কের সুগার মিলস থেকে ময়দানদিঘী পর্যন্ত সড়কে বিভিন্ন জাতের গাছ রোপন করে। কিন্তু প্রায় দেড়যুগ হলেও প্রতিবছর ঝড়ে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে বিশাল বৃক্ষাজি।
বিভিন্ন সূত্রে জানা যায় ‘ ২০০৩ ইং সালে ১০ বছর মেয়াদি এই সড়কে গাছগুলি রোপন করা হয়। শতাধিক সুবিধাভোগি এই গাছের সুবিধার আওতায় অর্ন্তভূক্ত রয়েছে। তারা স্থানিয় প্রশাসন সহ বন বিভাগে বার বার যোগাযোগ করলেও কি অজ্ঞাত কারনে কোন রকম র্কণপাত করছেনা কেউ। অনেক উপকারভোগি জানায় ‘তারা এ বিষয়ে অনেক আগে থেকেই লিখিত আবেদন দিয়ে আসছে। কিন্তু কেউ দায়িত্ব নিচ্ছেনা।
ফলে উপকারভাগিরা এখন অসহায় হয়ে পড়েছে। তারা অসংখ্য বার তাদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে হয়রানি হয়ে চুপসে গেছে। এমনবস্থায় গাছগুলি আস্তে অস্তে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। গত বছর প্রায় শতাধিক গাছ ঝড়ে উপড়ে পড়ে তার কোন হদিস নেই। এদিকে পঞ্চগড় স্থানিয় বন বিভাগে যোগাযোগ করা হলে তারা দায় এড়িয়ে বলেন ‘ আমরা এখন কি করবো’। রাস্তার মালিকানা নিয়ে ঝামেলা আছে। আবার কখনো বলেন ‘ গাছগুলি মার্কিং করতে বলা হয়েছে।
কিন্তু গত বছরে গাছগুলি ঝড়ে পড়ে যাওয়ার পর স্থানিয় বন বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা গাছগুলিকে মাকিং করার নিদের্শ দেন । কারন গাছগুলি নিলাম দেওয়ার কথা বলা হয়। অথচ এক বছর পেরিয়ে গেলেও তার কোন ফলপ্রসু কাজ এবং গাছগুলি নিলাম করাও হয়নি।
বন বিভাগ পঞ্চগড় এর কর্মকর্তা বলেন ‘ গাছগুলি কাটবো শীঘ্রই। পরে জানানো হয় ‘ রাস্তার মালিক কে। এমন প্রশ্ন তুলে তারা উদ্দেশ্যমূলক ভাবে চুপ করে থাকে। উপকারভোগিদের অনেকেই বলেন ‘ বন কর্মকর্তারা উৎকোচের আশায় এসব অজুহাত দেখাচ্ছে।
উপকারভোগিদের অনেকে বলেন ‘বন বিভাগ উদ্যোগ নিলে কোটি টাকার গাছগুলি নষ্ট হবে না। তাছাড়া উপকারভোগি গরিব মানুষরা উপকৃত হবে। সেই ২০০৩ ইং সালে পঞ্চগড় বন বিভাগের তৎকালিন রেঞ্জার মনোয়ার হোসেন এই বনায়ন করেছেন। তিনি এখন নাই ‘ প্রায় ১৭ বছর হয়ে গেলো কোন কিনারা হচ্ছেনা। জেলা প্রশাসন ও কোন দায়-দায়িত্ব নিচ্ছে না।
পঞ্চগড় সড়ক (সওজ) বিভাগ ‘ এর উপ-সহকারি প্রকৌশলী মো. জহুরুল হক বলেন ‘ এ বিষয়ে কোন রকম চিঠিপত্র বা মৌখিক ভাবে কিছুই জানায় নি। রাস্তা তো আমাদের। জেলা পরিষদে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তারাও বিষয়টি জানেন না বলে জানিয়েছেন।
0 মন্তব্যসমূহ