মিজানুর রহমান মিলন, স্টাফ রিপোর্টারঃ
নীলফামারীর সৈয়দপুরে রাস পদ্ধতিতে মাছ চাষ করা জামান অ্যাকুয়া অর্গানিক ফিশ ফার্ম পরিদর্শন করেছেন বেসিক ব্যাংক লিমিটেডের সৈয়দপুর শাখার কর্মকর্তারা। আজ বুধবার সকালে ব্যাংকটির সৈয়দপুর শাখার নির্বাহী ব্যবস্থাপক ও শাখা প্রধান মো. আব্দুল কুদ্দুস সরকার ও উপ-ব্যবস্থাপক মো. মোস্তাক মামুন ফার্মটি পরিদর্শন করেন।
এ সময় উদ্যোক্তা ও ফার্মের কর্ণধার মো. কামরুজ্জামান কনকের উপস্থিতিতে কর্মকর্তারা ফিস ফার্মটি ঘুরে দেখেন এবং রাস পদ্ধতিতে মাছ চাষ বিষয়ে অবগত হন। তারা রাস পদ্ধতিতে মাছ চাষ বিষয়ে উদ্যোক্তা কামরুজ্জামান কনকের কথা মনোযোগ সহকারে শোনেন।
এসময় ব্যাংক কর্মকর্তারা কনকের ফিস ফার্মটি সম্প্রসারণে বেসিক ব্যাংকের পক্ষ থেকে সব রকম আর্থিক সহায়তা প্রদানের আশ্বাস দেন। ব্যাংক কর্মকর্তাদের ফিস ফার্মটি পরিদর্শনের সময় ফার্মের কর্ণধার কনকের বাবা বিশিষ্ট সমাজসেবক মো. খালেকুজ্জামান,সাংবাদিক তোফাজ্জল হোসেন লুতু, নাটোর থেকে ফিস ফার্মটি দেখতে আসা ব্যবসায়ী হারুণ খান চৌধুরী,সমাজসেবী মো. জাহাঙ্গীর আলম বিপ্লব প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।
জামান অ্যাকুয়া অর্গানিক ফিশ ফার্ম পরিদর্শন শেষে বেসিক ব্যাংক কর্মকর্তা মো. আব্দুল কুদ্দুস সরকার তাঁর প্রতিক্রিয়ায় জানান, রাস পদ্ধতিতে মাছ চাষ সর্বাধুনিক একটি পদ্ধতি। এ পদ্ধতিতে অল্প জায়গায় বেশি পরিমাণে মাছ চাষ করা সম্ভব। তিনি বলেন, রাস পদ্ধতিতে বেশি বেশি মাছ চাষ করা হলে তা দেশের আমিষের চাহিদা পূরণের অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
উল্লেখ্য সৈয়দপুর উপজেলার বাঙ্গালীপুর ইউনিয়নের মছে হাজীপাড়ার সমাজসেবক মো. খালেকুজ্জামানের বড় ছেলে তরুণ প্রকৌশলী মো. কামরুজ্জামান কনক গত বছর থেকে রিসার্কুলেটিং অ্যাকুয়াকালচার সিস্টেমে ছয়টি ট্যাঙ্কে মাছ চাষ শুরু করেন। যাকে সংক্ষেপে রাস পদ্ধতি বলা হয়।
আর চীনে উদ্ভাবিত রাস পদ্ধতিতে অল্প জায়গায় অধিক মাছ চাষ করে আশানুরূপ ফলাফল পেয়েছেন কনক। তাই চলতি বছর থেকে রাস পদ্ধতিতে বাণিজ্যিকভাবে মাছ চাষ শুরু করেছেন তিনি। চলতি আগস্ট থেকে তার ফার্মে উৎপাদিত কৈ মাছ বাজারজাতকরণ শুরু হয়েছে। আর আগামী মাস থেকে ওই ফার্মে উৎপাদিত দেশি কৈ ও শিং মাছ বাজারজাত করা হবে।
তাঁর ফিশ ফার্মে সম্পূর্ণ অর্গানিক ও কেমিক্যালমুক্ত পদ্ধতিতে উৎপাদিত সুস্বাদু মাছ কিনতে ভিড় করছেন আগ্রহী ক্রেতারা। এছাড়া বর্তমানে তিনি সৈয়দপুরে ক্রেতাদের নিকট একেবারে টাটকা মাছ পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে হোম ডেলিভারি সার্ভিসও চালু করেছেন।
কামরুজ্জামান কনক বলেন, ফার্মটি গড়ে তুলতে ইতিমধ্যে তাঁর নিজস্ব প্রায় ১৫/১৬ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে। নিজ উদ্যোগে গড়ে তোলা ফিস ফার্মে তিনি আশানুরূপ সফলতাও পেয়েছেন। আগামীতে ব্যাংক থেকে আর্থিক সহযোগিতা পেলে ফার্মটি সম্প্রসারণের উদ্যোগ নেবেন বলে জানান তিনি।
0 মন্তব্যসমূহ