আশরাফুল ইসলাম গাইবান্ধাঃ
অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি একই ব্যক্তি একটি গ্রামের দেড় শতাধিক মামলার স্বাক্ষী কথিত আওয়ামীলীগ নেতা মিলন। তার অন্যায় অত্যাচারে অতিষ্ট এলাকার সর্বস্তরের মানুষ প্রতিকার ও শাস্তির দাবীতে মানববন্ধন করেছেন।
আজ ৯ জুলাই বৃহস্পতিবার সকালে রাইগ্রাম জামে মসজিদের সামনে এ মানববন্ধনে সর্বস্তরের এলাকাবাসী অংশ গ্রহন করে কথিত আওয়ামীলীগ নেতা মিলনের দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তি দাবী জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
গাইবান্ধা জেলার নবগঠিত পলাশবাড়ী পৌরসভার রাইগ্রামের মিলনের বাড়ী। কে এই রাইগ্রামের মিলন।কিইবা তার পরিচয়।অতি সম্প্রতি বেশ পরিচিত হয়ে উঠেছেন । তিনি রাইগ্রামের মৃত গোলাম আলীর ছেলে। মিলন ব্যক্তিগত জীবনে মূলতঃ কিছুই করেননা। আয়ের একমাত্র উৎস আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক অঙ্গনের আঙ্গিনা।
তিনি আওয়ামী রাজনীতির সাথে কখনোই জড়িত ছিলেননা বা এখনো নন। স্থানীয় সচেতন রাজনৈতিক বোদ্ধারা তাকে যারা চিনেন তারা তাকে পরীক্ষিত সুবিধাবাদী বলেই চিনেন বা জানেন।তিনি আওয়ামী লীগের উপজেলা শাখার দলীয় প্রথমসারির কতিপয় নেতা ঘেঁষা বটে। আর এমন ঘেঁষাঘেঁষির সুবাদে মিলনও হয়ে উঠেছেন অন্যতম ক্ষমতাধর ও প্রভাবশালী রুপে।
বিগত জ্বালাও-পোড়াওয়ের সময় কে এই মিলন তাকে কেউই চিনতেন না।আজকের এই সময় এই মিলন আজ আওয়ামী লীগ ঘরানার অনেককিছু হয়ে উঠেছেন। এ অঞ্চলের অন্যতম হেরোইনসহ বিভিন্ন মাদকের অভয়ারণ্য বা প্রধান ঘাঁটি এটিকে আয়েত্তে নিতে তিনি হয়ে পড়েন মরিয়া । কিন্তু প্রথমত মাদকবিহীন বেশ শান্তি পূর্ণ পরিবেশ বজায় থাকলেও পরবর্তিতে ওই যা তাই-ই।
যদিও অতীতের সেই পরিস্থিতি বর্তমান সময় আমুল পরিবর্তন ঘটেছে। এই মাদকঘাঁটি বেষ্টিত এই মিলনের বসতবাড়ী।প্রশাসনের দফায়-দফায় পৃথক অভিযানে অদ্যাবধি অগণিত মাদক মামলা দায়ের হয়েছে। অবিশ্বাস্য হলেও সত্য প্রায় শতাধিক মাদক মামলার স্বাক্ষী এই মিলন।অর্থাৎ সুবিধাবাদী এই মিলনের কলকাঠির ইশারায় এসব মামলার মূল উৎপত্তি।
যার পুরোটাই রহস্যজনক। মিলন জ্বরে আক্রান্ত পুরো রাইগ্রামবাসি। মিলন যেমন চোরকে বলেছে চুরি করতে ঠিক তেমনি গৃহস্থকে বলেছে জেগে থাকতে।আর এমনিভাবে একই ব্যক্তি পর-পর শতাধিক মাদক মামলার স্বাক্ষী বনেছেন।স্বাক্ষী হবার সুবাদে দু'হাতে কামিয়েছেন অবৈধ অর্থ।
কথিত আওয়ামীলীগ নেতা মিলনের অত্যাচারে অতিষ্ট ভুক্তভোগী গ্রামবাসী বলেন, মিলন বিভিন্ন সময়ে গ্রামবাসীদের বিভিন্ন মামলা মোকাদ্দমা ভয় দেখিয়ে ও চলমান মামলা গুলো হতে নাম কর্তন করে দেওয়া কথা বলে টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন ।
মিলনের দাবীকৃত অর্থ দিতে না পারলে স্থানীদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে গ্রাম ছাড়া করে ও হামলা করে নারী পুরুষ ও শিশুদের নানা ভাবে নির্যাতন করা হয়েছে। বসতবাড়ীতে হামলা করে ভাংচুর ও লুটপাট করেছে এই মিলনগং। তার এসব অন্যায়ের প্রতিবাদ করলে তিনি আরো ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে নানা ভাবে হয়রানী করেন।
এসময় তার ভয়ে অনেকেই মুখ খুলতে চান না । অভিযুক্ত মিলনের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি স্থানীয়দের আনিত অভিযোগ গুলো অস্বীকার করে বলেন, তারা চিহিৃন্ত মাদককারবারী তাদের বিরুদ্ধে থানায় বেশকিছু মামলা চলছে যেসব মামলার স্বাক্ষী আমি তারা ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে আমার নামে মিথ্যা অভিযোগ তুলেছেন অপপ্রচার করছেন।
0 মন্তব্যসমূহ