মো. আবু নাঈম, পঞ্চগড়ঃ
মিউজিক ভিডিওতে অভিনয় করার জন্য গাজীপুর থেকে পঞ্চগড়ে এনে এক তরুনীকে গণধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে।
এ ঘটনায় বোদা থানায় তিনজনের নাম উল্লেখ করে এবং ১০-১২ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করে মামলা করেছে ওই তরুনী। মামলার প্রধান দুই আসামী বোদা উপজেলা যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক আবিদা সুলতানা লাকী ও প্রথম বাংলা আইপি টিভির চিফ নিউজ এডিটর সাজ্জাদ হোসেন মিলনকে গ্রেপ্তার করেছে থানা পুলিশ।
জানা গেছে, গাজীপুরের কালিয়াকৈর এলাকায় থাকতেন ওই তরুণী। ইউটিউবের জন্য বিভিন্ন মিউজিক ভিডিওতে কাজ করার সময় পাঁচ বছর আগে ঢাকায় পরিচয় হয় পঞ্চগড়ের বোদা পৌরসভার ঝিনুকনগর এলাকার রফিকুল ইসলামের ছেলে সাজ্জাদ হোসেন মিলনের সাথে।
সেখানে মিলন প্রথম বাংলা টিভি নামে একটি প্রতিষ্ঠানের চিফ নিউজ এটিডর ও গ্রাফিক ডিজাইনার হিসেবে কাজ করতেন। এই সম্পর্কের সূত্র ধরেই মিলন নিজ এলাকা বোদায় একটি মিউজিক ভিডিও তৈরির জন্য মডেল হিসেবে কাজ করতে ওই তরুণীকে আসতে বলে এবং গত ১৪ জুলাই সকালে বোদায় পৌঁছে ওই তরুণী।
মিলন তাকে নিয়ে যায় বোদা উপজেলা যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক আবিদা সুলতানা লাকীর বাড়িতে। তার বাড়িতেই সাজ্জাদসহ ৪-৫ জন মিলে গণধর্ষন করে। পরদিন তাকে বোদা পৌরসভার ভাসাইনগরে এক বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয় সেখানেও তাকে গণধর্ষণ করা হয়।
এক পর্যায়ে কোন মতে সেখান থেকে পালিয়ে বোদা থানায় আশ্রয় নেয় ওই তরুণী। রাতেই ওই তরুণী বোদা থানায় মামলা করেন। মামলার আরেক আসামী হলেন, বোদা নগরকুমারী এলাকার জসীম উদ্দিন (২২)। রাতেই সাজ্জাদ হোসেন মিলন ও আবিদা সুলতানা লাকীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
ওই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বোদা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবু সায়েম মিয়া বলেন, প্রধান দুই আসামীকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। আদালতে তাদের পাঁচ দিন করে রিমান্ডও আবেদন করা হয়েছে।
এছাড়া ধর্ষণের শিকার ওই তরুণীর ডাক্তারি পরীক্ষা ও জবানবন্দি গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে। পঞ্চগড়ের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ইউসুফ আলী বলেন, এই ধর্ষণের ঘটনায় অনেক বিষয় বেড়িয়ে আসছে। আমরা ধারণা করছি এই ঘটনার সাথে পুরো একটি চক্র কাজ করেছে।
আদালত আসামীদের রিমান্ড মঞ্জুর করলে আরও অনেক তথ্য আমরা বের করতে পারবো। আমরা পুরো চক্রটিকেই বের করার জন্য কাজ করে যাচ্ছি। এছাড়া বাকি আসামীদেরও গ্রেপ্তারের জন্য আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
0 মন্তব্যসমূহ