রেদওয়ান হিমেলঃ
মিঠাপুকুরে পানি কমার সাথে সাথে শুরু হয়েছে ঘাঘটের ভাঙ্গন। ফলে শেষ সম্বল ভিটে মাটি হারিয়ে সর্বশান্তর পথে শতশত পরিবার।
ইতি মধ্যে আংশিক ঘর বাড়িসহ চাষাবাদীয় জমি নদীগর্ভে বিলিন হয়ে গেছে নদীর পাড়ের মানুষের।কেউ আবার পরিবার পরিজন নিয়ে অন্যত্রে ঘর বাড়ি নির্মান করে বসবাস করছে। জানা গেছে,রংপুর জেলার মিঠাপুকুর, সদর উপজেলা,পীরগাছার সীমানা ঘেষে বয়ে গেছে ঘাঘট নদী।
কয়েক দিনের টানা বর্ষনে নদী নালা খাল বিল ভরে টৈইটম্বর ছিল ।বর্তমানে পানি কমতে শুরু করলেও ভাঙ্গন বন্ধ হয়নি নদীর।সরেজমিনে গিয়ে কথা হয় পায়রাবন্দ ইউনিয়নের জোতষষ্ঠী গ্রামের দিন মজুর আমানউল্লার ছেলে মন্টু মিয়া,পাটোয়ারী,মীর কাসেম মনা, আবেদের ছেলে নুরমোহাম্মদ, নুর ইসলামের ছেলে আমিন, বাবুর ছেলে আশরাফুল,শাহাজাদী,ইসমাইলের ছেলে হারেছসহ অনেকে জানান,
নদীর ভাঙ্গনে বাড়ি ভিটা নদীতে। আর বাড়ি সড়ানোর পরেও বাড়ির অংশ ঝুলে আছে নদীর কিনারায়।নদীর গতি পথ বছরে বছরে পরিবর্তনের ফলে এই ভাঙ্গন এখন তীব্রতর আকার ধারণ করছে। এছাড়া জামান, গোলাম মওলা,ইমান,এন্তাজ,সাহেব,আজগার,ইয়াছিন,মমমিনুল ইসলাম মমিন,মোকছেদুল জানান,
চাষাবাদীয় জমি গুলো বছরে বছরে ভেঙ্গে নদীগর্ভে চলে গেছে। জরুরী ভিক্তিতে ভাঙ্গন রোধে ব্যবস্থা গ্রহন না করলে বাকিটুকু জমিসহ ঘরবাড়ি নদীতে বিলিন হয়ে যাবে। একই ভাবে খোর্দ্দমুরাদপুর,বিন্নাটারী,মগলেবাগ তামপাট,ঠাকুর বাড়ী ব্রীজ এলাকা,ত্রিমহনী ফতেপুরেও নদীর ভাঙ্গন অব্যাহত রয়েছে বলে স্থানীয়রা জানান।
এর আগে খোর্দ্দমুরাদপুরের মোশারফ,মালেক,মশিয়ার,বিন্নাটারী, মকবুলের ছেলে সামছুল হক, নবীর,মোহাম্মদ, আমেনা শহিদুল,আলকেস,মরিয়ম,ফেরদোস,মগলেবাগের ইলিয়াস,ইউনুস,ইয়াকুব, বাবলু,রাজ্জাক,ভ্যালকা, রউফ গ্রাম পুলিশ আবু সিদ্দিক জানান,নদীর ভাঙ্গনের কবলে পড়ে ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে ঘরবাড়ি সরিয়ে নিয়ে অন্যত্রে বসবাস করছে।
তবে তাদের জমি নদীতে বিলিন হয়ে গেছে বলে জানান তারা। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ফয়জার রহমান, সদস্য শহিদুল ইসলাম বলেন,নদীর ভাঙ্গন রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য রংপুর জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ সংশ্লিষ্টেদের প্রতি ক্ষতিগ্রস্তদের পক্ষে কথা বলা হবে।
0 মন্তব্যসমূহ