আশরাফুল ইসলাম গাইবান্ধাঃ
গাইবান্ধার পলাশবাড়ী পাঁচপীরের দরগাহ্ দাখিল মাদ্রাসার দপ্তরী কাম প্রহরী ও আয়া সৃষ্ট দুটি পদে গোপনে নিয়োগের পায়তারা করার অভিযোগসহ পুন: নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে নোটিশ বোর্ডে লাগানোর জন্য শিক্ষা মন্ত্রনালয় ,জেলা প্রশাসক . উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের কার্যালয়সহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে।
উপজেলার কিশোরগাড়ী ইউপির বুজরুক টেংড়া গ্রামের মৃত আজগার আলী মাষ্টারের ছেলে রুবেল মিয়া এই অভিযোগ দাখিল করেন।
অত্র মাদ্রাসার সুপার আফসার আলী ও মাদ্রাসার গভনিং বডির সভাপতি আওয়ামীলীগ নেতা হাফিজার রহমান দপ্তরী কাম প্রহরী ও আয়া পদে লোক নিয়োগের জন্য গোপনে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে।
উক্ত বিজ্ঞপ্তি মাদ্রাসার নোটিশ বোর্ড কিংবা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের কার্যালয়ের নোটিশ বোর্ডে না দিয়ে গোপনে তাদের মনোনীত ব্যাক্তিদের আবেদন পত্র গ্রহন করেন।ফলে উক্ত মাদ্রাসার জমি দাতার পরিবারসহ অনেক যোগ্য প্রার্থী আবেদন করার সুযোগ পায়নি।
অভিযোগে আরো উল্লেখ করা হয় মাদ্রাসার সুপার আফসার আলী ও মাদ্রাসার গভনিং বডির সভাপতি আওয়ামীলীগ নেতা হাফিজার রহমান শুধু মাত্র দপ্তরী কাম প্রহরী পদে চাকুরী দেয়ার কথা বলে শিমুলিয়া গ্রামের জনৈক আব্দুর রশিদের ছেলে রায়হানের নিকট ১০ লক্ষ টাকা গ্রহন করেছেন।
মাদ্রাসার বেশ কয়েকজন শিক্ষক ,অফিস সহকারী, টিআর সদস্যরা জানান সাংবাদিকদের জানান সুপার ও সভাপতি কবে, কখন, কোন পত্রিকায় বিজ্ঞাপ্তি প্রকাশ করেছে তা তাদেও জানানো হয়নি।
ফলে যোগ্য অনেক প্রার্থী থাকার পরও তারা আবেদন করতে পারেনি।যা অত্যান্ত দ:খ জনক।
নির্ভরযোগ্য সূত্র থেকে জানাযায়,অভিযোগ দায়ের ও করোনার কারনে দির্ঘ দিন নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ থাকার পড় আবারো তারা গোপনে উল্লেখিত পদে নিয়োগের জন্য টি আর সদস্যদের বাসায় গিয়ে স্বাক্ষর গ্রহনের জন্য জোর প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সুপার আফসার আলী,নিজে টাকা গ্রহনের কথা অস্বীকার করে জানান ২/৩ বছর আগে সভাপতি সাহেব নিয়োগের কথা বলে রশিদের ছেলে রায়হানের নিকট কিছু টাকা গ্রহন করেছেন।বর্তমানে জটিলতা সৃষ্টি হওয়ায় নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থগিত আছে।
গভনিং বর্ডিও সভাপতি ও ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ নেতা হাফিজার রহমানের সাথে ঘন্টা ব্যাপী আলাপ কালে এক সময় তিনি নিয়োগের কথা বলে শিমুলিয়া গ্রামের জনৈক আব্দুর রশিদের ছেলে রায়হানের নিকট ৫ লক্ষ টাকা গ্রহনের কথা স্বীকার করেন।
যা প্রমান স্বরুপ ডিভাইজে সংরক্ষন করা হয়েছে। এলাকাবাসীর দাবী পুন: নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ না করে উক্ত পদে জনৈক্য রায়হানকে শেষ পর্যন্ত গোপনে নিয়োগ প্রদান করা হলে দুর্নীতি ও অনিয়মের অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করা হবে বলে মনে করেন এলাকাবাসী।
তবে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মহাতাব হোসেন জানান, আমি মাদ্রাসার নিয়োগে অনিয়মের কথা শুনেছি। নিয়োগে অনিয়মের আশ্রয় গ্রহণ করা হলে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।
এ দিকে যোগ্যতা থাকা সত্বেও আবেদন করতে না পারায় অনেক প্রার্থী পূনঃনিয়োগ বিজ্ঞাপ্তি প্রকাশসহ সংশ্লিষ্ট মাদ্রাসার নোটিশ বোর্ড, উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ের নোটিশ বোর্ডে টাঙানোর জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
0 মন্তব্যসমূহ