আশরাফুল ইসলাম গাইবান্ধাঃ
গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী উপজেলাধীন ২ নং হোসেনপুর ইউপির দেবোত্তর কলা গাছী মৌজার ৬৮৫ দাগে অবস্থিত বাংলাদেশ কৃষক সমিতি পরিচালিত বরেন্দ্র বহুমুখী প্রকল্পের গভীর নলকূপের ৭২ জন বোরোধান চাষী গত ২৬/০৬/২০২০ তারিখ শুক্রবার বিকেল ৩ টায় দিগদারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এক কৃষক হালখাতার আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি কৃষক নেতা মোঃশাহীন মিয়া । বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক কৃষক নেতা মোঃ রবিউল ইসলাম , কোষাধ্যক্ষ কৃষক দরদী জনাব গোলজার রহমান, কৃষক নেতা সংগঠনের সদস্য জনাব ইয়াদুল ইসলাম সাজু মাস্টার ও আরও অনেকে।
হালখাতায় সংগঠনের পক্ষ থেকে প্রত্যেক বোরোধান চাষীর নিকট থেকে বিঘা প্রতি ৮০০/০০ টাকা সেচ বাবদ সংগ্রহ করা হয়। সংগৃহীত অর্থ প্রিপেইড বিদ্যুৎ বিল ২৪০০০/= হাজার টাকা, লাইন ম্যানের বেতন ২১০০০/=হাজার টাকা পরিশোধ করেও ২০,০০০/= টাকা লাভ থাকে।
সকলের সিদ্ধান্তে হালখাতায় আপ্যায়ন ( বিরিয়ানি ), খাতা - কলম, চিঠি - পত্র ইত্যাদি খরচ বাদে বর্তমানে ১২০০০/= হাজার টাকা সংগঠনে গচ্ছিত আছে। সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে, আগামীতে সেচ মূল্য আরও কম করা হবে এবং সকল সদস্যের স্বার্থেই এ অর্থ খরচ করা হবে।
উল্লেখ্য এই গভীর নলকূপে বরেন্দ্র কতৃক নিয়োজিত অপারেটর জনাব মোঃ আকবর আলীর ( ২৫/৩০ জন কৃষকের আনুমানিক ৫০ বিঘা জমি ) দায়িত্বে বোরোধান চাষ করা হয়। শোনা যায় সেখানে চাষি দের কাছ থেকে বিঘা প্রতি ১০০০/= হাজার টাকা থেকে – ১২ শত টাকা আদায় করা হয়েছে।
( মধ্যস্বত্ব ভোগীর লাভ, কৃষক ক্ষতিগ্রস্থ )। আরও উল্লেখ্য, লড়াই করেই( ২১ সদস্য বিশিষ্ট) কৃষক সমিতির উদ্যোগে বোরোধান চাষের অধিকার আদায় করা হয়েছে। আর বিগত মৌসুমে মাত্র ৮ শত টাকা বিঘা প্রতি দিয়েও কৃষক সমিতির খরচ পাতি করেও আরো ১২ হাজার টাকা আয় রয়েছে।
আর কৃষক সমিতির এই সফলতায় কৃষক যে এসব বরন্দ্রভোগী অপারেটরদের ব্যবসার বস্তুতে পরিণত হয়েছে তার প্রমান মিলেছে। গাইবান্ধা জেলা কৃষক সমিতির সভাপতি আলহাজ্ব একরাম হোসেন বাদল হাজ্বী এবিষয়ে বলেন, আজ কৃষক সমিতির করা দাবীর প্রমাণ মিলেছে ।
বরেন্দ্র কর্তৃক যেসব সেচপাম্প চলে তার অপারেটরা যে কৃষকদের নিকট বিঘা প্রতি অতিরিক্ত অর্থ নিচ্ছেন সেটা আজ এই কৃষক সমিতির হালখাতার হিসাবের মাধ্যমে প্রমাণ পাওয়া গেলো। কৃষক সমিতির দাবী প্রকৃত কৃষকদের সমন্বয়ে এসব বরেন্দ্র সেচ পাম্প পরিচালিত করা হোক এতে করে কৃষকদের ফসল উৎপাদনে ব্যয় কম হবে। কম খরচে কৃষক ফসল আবাদ করতে পারবে ।
আর কৃষকের যখন ফসল উৎপাদনে ব্যয় কমবে তখন তারা বেশী লাভবান হবেন আরো বেশী বেশী ফসল চাষে আগ্রহী হয়ে উঠবেন। এতে করে দেশ জুড়ে উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে দেশের চাহিদা পূরুন করে দেশের বাহিরে রপ্তানি করা সম্ভব হবে।
এছাড়াও এ পদ্ধতি কৃষক কে সহযোগীতা করলে দেশের এক ইঞ্চি জায়গাও পড়ে থাকবে না।
0 মন্তব্যসমূহ