আশরাফুল ইসলাম গাইবান্ধাঃ
করোনা ভাইরাস কোভিড ১৯ এই মহামারিতে গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ থানার এসআই সজিব,এএসআই সাইফুল ইসলাম, এএসআই আসাদুল, কং- আব্দুর রশিদ ও কং সোলায়মান গোবিন্দগঞ্জ থানায় নিয়মিত ভাবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।
গত এপ্রিল থেকে এ পর্যন্ত যখন নারায়ণগঞ্জ,গাজীপুর ও ঢাকা এলাকায় করোনা হানা দেয় এবং ঐ এলাকার গার্মেন্টস কর্মিরা সরকারি বাধা- নিষেধ উপেক্ষা করে বাস-ট্রাকে করে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে চুরি করে ফিরছিলো তখন গোবিন্দগঞ্জের বিভিন্ন পয়েন্ট বাস-ট্রাক চেক সহ হাট-বাজারে টহল ডিউটি ,মার্কেট ডিউটি, করোনা ও করোনা উপসর্গ নিয়ে মৃত ব্যক্তির দাফনকাজ করতে গিয়ে উল্লেখিত পুলিশ সদস্যদের শরীরে সম্ভবত করোনা ভাইরাস বাসা বাধে।
তারপরও তারা করোনা উপসর্গ না বুঝে সরকারি দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে বেশি অসুস্থ হয়ে পরলে তারা পর্যায়ক্রমে ব্যক্তিগত ভাবে হোম কোয়ারান্টাইন চলে যান । এরপ্রেক্ষিতে অফিসার ইনচার্জ একেএম মেহেদী হাসানের পরামর্শে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হতে পুলিশ সদস্যদের নমুনা সংগ্রহ করে রংপুর পিসিআর ল্যাবে পাঠানো হয়।
পরীক্ষা শেষে করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসে। রিপোর্ট পজিটিভ আসায় উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মজিদুল ইসলামের পরামর্শে পুলিশ সদস্যদের কে আইসোলেশনে রেখে নিয়মিত চিকিৎসা দেয়া হয়।
এবং ২য় বার স্যাম্পল সংগ্রহ করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স তা রংপুর পিসিআর ল্যাবে পাঠিয়ে দেন। এবং ২য় বার নেয়া স্যাম্পলের রিপোর্টে উপরোক্ত ৪ পুলিশ সদস্যদের নেগেটিভ আসলেও শুধু কনষ্টেবল- সোলাইমানের ২য় বারও পজিটিভ রিপোর্ট আসে।
এবং চুড়ান্ত ভাবে এ ৪ জন পুলিশ করোনা জয় করেন। এরপর ৮ জুলাই বুধবার করোনা জয়ী এসআই সজিব, এএসআই সাইফুল, এএসআই আসাদুল, কং- রশিদ বীরের বেশে কর্মস্থলে যোগদান করতে দুপুর ১টায় গোবিন্দগঞ্জ থানায় আসলে
গাইবান্ধা জেলা পুলিশ সুপার মুহাম্মদ তৌহিদুল ইসলামের পক্ষে গোবিন্দগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ একেএম মেহেদী হাসান, ইন্সপেক্টর (তদন্ত) জনাব আফজাল এবং থানার সকল অফিসার বৃন্দ ফুলেল শুভেচ্ছার মধ্যে দিয়ে করোনা জয়ীদের কে স্বাগত জানান।
0 মন্তব্যসমূহ