মিজানুর রহমান মিলন, স্টাফ রিপোর্টারঃ
নীলফামারীর সৈয়দপুরে পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর সাড়ে ৫৬ মেট্টিক টন নিষিদ্ধ পলিথিন উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার করা এসব পলিথিনের আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় ৬৭ লাখ টাকা।
আজ রবিবার দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা বিভাগ, (এনএসআই) নীলফামারী জেলা এবং র্যাব-১৩ নীলফামারী ক্যাম্প সিপিসি-২ যৌথ অভিযান চালিয়ে শহরের শহীদ জহুরুল হক ও শহীদ ডা. জিকরুল হক সড়কের তিন ব্যবসায়ীর গোডাউন ও দোকান থেকে ওইসব পলিথিন উদ্ধার করে।
পরে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে নিষিদ্ধ পলিথিন সংরক্ষণ ও বাজারজাত করার দায়ে শহরের পলিথিন ব্যবসায়ী আব্দুর রশীদ, ইমরান ও সাবদারের এক লাখ টাকা করে তিন লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জব্দ করা হয়েছে উদ্ধার করা নিষিদ্ধ পলিথিন।
অভিযান সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, আজ রবিবার দুপুর ১২টায় এনএসআইয়ের নীলফামারী জেলার গোপন পর্যবেক্ষণে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে নীলফামারী জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মো. মাহবুব হাসান ও জায়ইদ ইমরুল মোজাক্কীরের উপস্থিতিতে এনএসআই ও র্যাব -১৩ নীলফামারী ক্যাম্প সিপিসি-২ সদস্যরা সৈয়দপুর শহরের ওই এলাকায় যৌথ অভিযান পরিচালনা করে।
অভিযানকালে শহরের শহীদ জহুরুল হক সড়কের ব্যবসায়ী সাবদারের গোডাউন থেকে সাড়ে ২৫ মেট্টিক টন ও আব্দুর রশীদ ও ইমরানের গোডাউন থেকে ৩০ টন এবং ইমরানের দোকান থেকে এক টন নিষিদ্ধ পলিথিন উদ্ধার করা হয়।
অভিযানে জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা বিভাগের (এনএসআই) উপ পরিচালক (ডিডি) খালিদ হাসান এবং র্যাব--১৩ নীলফামারী সিপিসি-২ ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার সহকারি পুলিশ সুপার মো. ইমরান খান নেতৃত্বে ওই অভিযান পরিচালনা করা হয়।
এ সময় এনএসআইয়ের সহকারি পরিচালক মো. হাফিজুর রহমান হাফিজ, রংপুর পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিদর্শক কাজী মো. সাইফুদ্দিন,এনএসআই নীলফামারী ও র্যাব-১৩ এর অন্যান্য সদস্যরা অংশ নেয়।
পরে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর ও নিষিদ্ধ পলিথিন সংরক্ষণ ও বাজারজাত করার দায়ে পলিথিন ব্যবসায়ী মো. সাবদার, আব্দুর রশীদ ও ইমরানের এক লাখ টাকা করে তিন লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
নীলফামারী জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মো. মাহবুব হাসান ও জায়ইদ ইমরুল মোজাক্কীর ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন। উদ্ধারকৃত পলিথিন জব্দ করে রংপুরে নিয়ে যায় পরিবেশ অধিদপ্তর।
নীলফামারী এনএসআইয়ের সহকারি পরিচালক মো. হাফিজুর রহমান হাফিজের সাথে কথা হলে তিনি জানান, সৈয়দপুরের অবৈধ পলিথিন মজুদ ও বাজারজাত করার বিষয়ে তাদের কাছে খবর ছিল। পরে বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করে প্রাপ্ত তথ্য ও সত্যতার ভিত্তিতে নীলফামারী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের দুিজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে এনএসআই ও র্যাব যৌথ অভিযান পরিচালনা করে।
উল্লেখ্য গত বৃহস্পতিবার শহরের চাঁদনগর এলাকায় অভিযান চালিয়ে নিষিদ্ধ পলিথিন কারখানা আবিস্কার এবং ওই কারখানা থেকে প্রায় ৪ টন পলিথিন উদ্ধার করে র্যাব। পরে সেখানে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ফ্যাক্টরী মালিক তারিক ইকবালের ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। ওইদিন জব্দ করা পলিথিন রংপুরে নিয়ে যায় পরিবেশ অধিদপ্তর।
এদিকে ৭২ ঘন্টার ব্যবধানে বিপুল পরিমাণ নিষিদ্ধ পলিথিন উদ্ধার হওয়ায় সৈয়দপুরে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
0 মন্তব্যসমূহ