আশরাফুল ইসলাম গাইবান্ধাঃ
প্রতিনিয়ত মরছে মানুষ যানবাহনের নিচে পড়ে ,কোথায় হয়তো দোষী চালক,সড়ক,যানবাহন বা নিয়ন্ত্রক যারা রয়েছে আইন শৃংখলা রক্ষায় সড়ক মহাসড়কে । গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ীতে ঢাকা রংপুর মহাসড়কে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় শিশুসহ নিহত হয়েছে ২ জন ।
এ ঘটনায় আরো একজন আহত হয়েছে বলে জানা যায়।এদিকে দুর্ঘটনার পরে স্থানীয় জনগন ঘন্টাব্যাপি রংপুর ঢাকা মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে।পরে পুলিশি হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। ঘটনাটি ঘটেছে আজ ২৬ জুলাই রোববার সকালে রংপুর ঢাকা মহাসড়ক পলাশবাড়ী উপজেলার মহেষপুর নামক স্থানে।
ঘটনাস্থলে নিহতের পরিবারের নিকট অবশেষে থানা পুলিশ ও হাইওয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে কর্মকর্তাগণ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করার আশ্বাস প্রদান করেছে । প্রত্যক্ষ্যদর্শীরা জানান প্রতিদিনের ন্যায় গোবিন্দগঞ্জ হাইওয়ে পুলিশের একটি টিম রোববার সকালে মহেশপুর নামক স্থানে চেকপোস্ট বসিয়ে কাগজ পত্র যাচাই বাচাই করছিলেন।
এসময় এসময় রংপুর থেকে ছেরে আসা একটি হাইএচ সুপার জেল মাইক্রেবাস (ঢাকা মেট্রো - চ ১৩৮০৭৫) এসময় গাড়ীটি মহেশপুর নামক চেকপোস্টের সামনে পৌছিলে বিপরিত দিক থেকে আসা একটি অটোভ্যান চালককে মহাসড়কে ওঠার অপরাধে হাইওয়ে পুলিশ লাঠিচার্জ করার চেষ্টা করলে চালক ভয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে হাইয়েস গাড়ীর সাথে ধাক্কা লাগে।
এতে ঘটনাস্থলেই এক শিশু সহ দুই জন নিহত হয়েছে। এসময় হাইওয়ে পুলিশ দ্রুত লাশ নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে চলে গেলে ও উত্তেজিত এলাকাবাসী প্রায় ১ ঘন্টা ব্যাপি মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে।পরে পলাশবাড়ী থানা পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
নিহতরা হলেন ভ্যান চালক পীরগঞ্জ উপজেলার আজমপুর গ্রামের আব্দুস সাত্তারের পুত্র শাফিউল ইসলাম (৩৫), সাদুল্লাপুর উপজেলার জানিপুর গ্রামের সোহেল মিয়ার ছেলে নাহিদ (৬)।
এ ঘটনায় আহত একই এলাকার রব্বু মিয়ার স্ত্রী মমতা বেগম (৬০) কে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে পলাশবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। তিনি সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
0 মন্তব্যসমূহ