সাদুল্যাপুরে শারিরীক প্রতিবন্ধি আলমগীরের বয়স্ক ভাতা ও হুইল চেয়ারের ব্যবস্থা করলেন এ্যাড. উম্মে কুলসুম স্মৃতি এমপি

আশরাফুল ইসলাম গাইবান্ধাঃ
গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর গাইবান্ধা জেলার সাদুল্যাপুর উপজেলার ধাপের হাট ইউনিয়নের মওয়াগাড়ী গ্রামের হতদরিদ্র মিজানুর রহমানের পুত্র আলমগীর (১৬) শৈশব কাল থেকেই তার দুটি পা নেই। এরপর থেকে দু হাতে হাতে ভর করে চলা ফেরা করে প্রতিবন্ধি আলমগীর। 

পিতা মাতা দরিদ্রতার কারনে ঢাকায় রিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে।অভাব অনটনের সংসারে দাদা দাদীর নিকট বেড়ে ওঠা আলমগীর পড়াশুনা করতে পারে নাই। 

এমতবস্থায় জেলা সমাজ সেবা কার্যালয় থেকে গত ২০১৬ সালে প্রতিবন্ধী পরিচয়পত্র গ্রহন করে আলমগীর। ৫ বছর আগে করা প্রতিবন্ধীর রেজি: কার্ড থাকলে ও এই হতভাগ্য প্রতিবন্ধির ভাগ্যে জোটেনি একটি হুইল চেয়ার ও প্রতিবন্ধি ভাতার একটি কার্ড । 

ওয়ার্ডে ইউ,পি সদস্য ইউনুস আলীর সাথে কথা বলে জানা যায়,সে প্রতিবন্ধী ভাতা পাওয়ার যোগ্য !তাকে আমি চিনি কিন্তু আমরা মেম্বাররা বছরে ১ টা করে প্রতিবন্ধী ভাতার কার্ড ভাগে পাই!তা ছাড়া আলমগীর আমার কাছে না এসে উচ্চ মহলে যোগাযোগ করার কারনে তার কাজটা করতে দেরি হচ্ছে। 

হত দরিদ্র পরিবারের সন্তান আলমগীর অতি কষ্টে হাত দিয়ে হেটে চলা ফেরা করে কোন রকম জীবিকা নির্বাহ করছেন বলে জানায় গ্রামবাসী । গতকাল ১০ জুন বুধবার অনলাইনে বিভিন্ন গনমাধ্যমে এমন একটি সংবাদ প্রকাশিত হলে বিষয়টি নজরে আসে বাংলাদেশ কৃষকলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারন সম্পাদক ও ৩১ গাইবান্ধা -০৩ পলাশবাড়ী সাদুল্যাপুর আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য এ্যাড উম্মে কুলসুম স্মৃতি এমপির । 

তিনি ততক্ষনাৎ বিষয়টির যথাযথ গুরুতত্বারোপ করে প্রতিবন্ধি আলমগীর একটি হুইল চেয়ার ও প্রতিবন্ধি ভাতা প্রদানের জন্য সাদুল্যাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নবী নেওয়াজ ও উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তাকে নির্দেশ প্রদান করেন । 

এ্যাড. উম্মে কুলসুম স্মৃতি এমপির নির্দেশে বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে তার প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র গ্রহন করা হয়।এ ছাড়াও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপহার ত্রান সহায়তা প্রদান করা হয় প্রতিবন্ধী আলমগীরের পরিবারের হাতে । 

উল্লেখ্য,স্বাধীনতার পরে এই প্রথম আসনটির একজন সংসদ সদস্য অনলাইলে নাগরিক সেবা প্রদান করার বিষয়টি নির্বাচনী এলাকার মানুষের মাঝে আশার আলো জাগিয়েছেন।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ