আলাউদ্দিন, লোহাগাড়াঃ
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের কাছে অসহায় হয়ে পড়েছে মানুষ। করোনার মরণ থাবা থেকে রক্ষা পাচ্ছে না সাধারণ মানুষসহ ডাক্তাররা।
এমন পরিস্থিতিতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রোগীদের সেবা দিয়ে যাচ্ছেন লোহাগাড়া জেনারেল হাসপাতালে গাইনী চিকিৎসক ডা. রুমানা হাসান।
করোনার এ কালে মধ্যেও থেমে নেই তার সেবা কার্যক্রম। সাধারণ মানুষের চিন্তা করে চিকিৎসা সেবা চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি।
প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দৈনিক ১৫ থেকে ১৮ ঘণ্টা বিরামহীন সেবা দিয়ে যাচ্ছেন তিনি। গর্ভবতী নারী, প্রসূতি মা ও শিশুসহ সব ধরনের রোগীদের সেবা দেন তিনি। এই মহামারীতে এলাকার মানুষের আর্থিক সমস্যার কথা বিবেচনা করে তিনি বহিঃবিভাগে রুগী দেখার ফি জনপ্রতি ১০০ টাকা কমিয়ে দিয়েছেন।
জানতে চাইলে ডা. রুমানা হাসান বলেন, ‘এই পরিস্থিতিতে ঝুঁকি নিয়েই আমাদের কাজ করতে হবে।
তারপরও যতটুকু সম্ভব সেফটি নিয়ে সেবা দিচ্ছি । একজন চিকিৎসক হিসেবে এই মহামারীতে মানুষের পাশে থেকে স্বাস্থ্য সেবা দেওয়া আমার দায়িত্ব এবং কর্তব্য আমি মনে করি।
এখন দেশের এমন চরম সংকটাপন্ন মুহূর্তে আমরা যদি ঘরে বসে থাকি, নিজেদের স্বার্থ সুবিধা বিবেচনা করি। তাহলে দেশের সাধারণ মানুষ কাদের কাছে যাবে? আর আমাদের চিকিৎসকদের মানব সেবার ধর্মের মর্যাদাটাও কিভাবে ঠিক থাকবে। এই কঠিন মুহুর্তে প্রত্যেকের জায়গা থেকে মানুষের পাশে দাড়ানো উচিত।
উল্লেখ্য- ব্যাংকককে অধ্যয়নরত ডা. রুমানা হাসানের স্বামী ডা: তারেক আহমদের হার্টের বাইপাস সার্জারী হয়েছিল ২ মাস আগে। দীর্ঘদিন ওখানেই ছিল স্বামীর পাশে। ফ্লাইট বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দেশে ফিরে আসতে পারেন নি।
গত ১৪ মে একটি বিশেষ ফ্লাইটে তিনি দেশে আসেন। তারপর থেকে তিনি হোম কোয়ারেন্টাইনে ছিলেন। কোয়ারেন্টাইন শেষ করে গত ১লা জুন (সোমবার) সকাল থেকে লোহাগাড়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়মিত রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছেন ডা: রুমানা হাসান।ক
0 মন্তব্যসমূহ