সংবাদ প্রকাশের পর সেই গ্রামে ত্রাণ পৌঁছে দিলেন ঠাকুরগাঁও সদর ইউএনও

মেহেদী হাসান ,ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ
"স্বাধীনতা পরবর্তী কোণ ধরণের ত্রাণ পায়নি যে গ্রাম” শিরোনামে গতকাল ঠাকুরগাঁওয়ের খবর সহ বিভিন্ন অনলাইন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর বিষয়টি নজরে আসে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল্লাহ-আল-মামুনের।তিনি গতকাল রাতেই সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান আবু হাসান মো: আব্দুল হান্নান হান্নু’র সাথে যোগাযোগ করে তাদের খোঁজ-খবর নেন এবং আজ শনিবার (২ মে) সকালে ইউনিয়ন পরিষদে উক্ত এলাকার ত্রাণ না পাওয়া পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা বলেন ও তাদের হাতে ত্রাণ সামগ্রী তুলে দেন।বয়োজ্যেষ্ঠ আমেনা খাতুন, আলতাফুর ও শেখ সামসুল হকসহ এলাকাবাসি জানান, ত্রাণ পেয়ে তারা ভীষণ খুশি। আবেগাপ্লুত হয়ে তারা বলেন, স্বাধীনতা পরবর্তী আজ প্রথম তারা সরকারি ত্রাণ পেলেন। এসময় তারা ইউএনও, চেয়ারম্যান ও সাংবাদিকদের ধন্যবাদ জানান।তারা বলেন, অনেক সাংবাদিক এসে আমাদের ছবি তুলে নিয়ে গেছে কিন্তু কেউ একমুঠো চালের বন্দোবস্ত করে দিতে পারেনি। গতকাল আরও বেশ কয়েকজন সাংবাদিক এসে ছবি তুলে, আমাদের দূ:খের কথা জানতে চায়।তাদের কারণেই হয়তো আমরা আজ ত্রাণ পেলাম। আল্লাহ তাদের ভালো করুক।ইউপি চেয়ারম্যান আবু হাসান মো: আব্দুল হান্নান হান্নু জানান, করেনা পরিস্থিতিতে সরকার সকলকে ঘরে থাকতে বলেছে-এমন পরিস্থিতিতে কর্মহীন হয়ে পড়ে এলাকার খেটে খাওয়া মানুষগুলো। আমরা ত্রাণ সামগ্রী পাওয়া মাত্র তা বন্টন করে দিচ্ছি। সংবাদ প্রকাশের পর খোঁজ নিয়ে দেখা যায় বিধবা ও বয়স্ক ভাতাকারি বাদে অত্র ইউনিয়নের হাজীপাড়া ও হজকটুপাড়ায় ১৬০টি পরিবার কোন রকম ত্রাণ পায়নি।আজ তাদের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী প্রদান করা হলো।সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল্লাহ-আল-মামুন জানান, গতকাল অনলাইনে খবর প্রকাশের পর পরই আমি ব্যক্তিগতভাবে চেয়ারম্যানের সাথে যোগাযোগ করে জানতে পারি রহিমানপুর ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের হজকটুপাড়া ও ৬ নং ওয়ার্ডের হাজীপাড়া গ্রামের ১৬০টি পরিবার আজ পর্যন্ত কোন ত্রাণ পায়নি। আজ তাদের ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হলো। সঠিক তথ্য তুলে এনে সংবাদ প্রকাশ করায় এসময় গণমাধ্যমকর্মীদের ধন্যবাদ জানান তিনি।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ