আল-আফতাব
খান সুইট,
বাগাতিপাড়া, নাটোর
প্রতিনিধিঃ
নাটোরের
বাগাতিপাড়ায় প্রাতিষ্ঠানিক
কোয়ারান্টাইনে থাকা
তিন মাসের
শিশু সহ
একই পরিবারের
পাঁচজন খাবার
পাচ্ছেনা বলে
অভিযোগ করেছেন
কোয়ারান্টাইনে থাকা
সদস্যরা। তারা
প্রশ্ন করেন,
শিশু সহ
তাদের খাবার
দেবে কে?
করোনা
ভাইরাস (কোভিড-১৯)
এর কারণে
দেশের এক
জেলা থেকে
অন্য জেলা
এলে সামাজিক
দূরত্ব বজায়
রেখে সরকারি
নির্দেশনা অনুযায়ী
১৪ দিন
হোম বা
প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারান্টাইনে
থাকতে হবে।
সেকারণে বাগাতিপাড়াতেও
৬টি প্রাতিষ্ঠানিক
কোয়ারান্টাইন প্রস্তুত
রাখা হয়েছে।
তার
মধ্যে পৌরসভার
পেড়াবাড়িয়া মডেল
সরকারি প্রাথমিক
বিদ্যালয় একটি।
গত ৪ দিন
আগে ঢাকা
থেকে আসা
তিন মাসের
শিশু সহ
একই পরিবারের
৫ জন
সদস্য সেখানে
১৪ দিনের
প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারান্টাইনে
আছেন। তারা
অভিযোগ করে
বলেন, তাদের
খাবারের ব্যাবস্থা
নেই এমনকি
কেউ কোন
খোজ খবর
রাখেনা। বর্তমানে
কর্মহীন হয়ে
পরায় বাড়িতে
থেকেও খাবার
জোগান দেওয়া
সম্ভব না।
তারা
খুব কষ্টে
জীবন যাপন
করছে।
তাদের
প্রশ্ন আমরা
কি অপরাধ
করেছি, আমরা
কি খেতে
না পেয়ে
মারা যাবো?
সরকার কি
আমাদের দিকে
তাকাবেন না?
এই
বিষয়ে বাগাতিপাড়া
পৌর মেয়র
মোশাররফ হোসেনের
কাছে জানতে
চাইলে তিনি
বলেন, কোয়ারেন্টাইনে
খাদ্য সামগ্রী
দেওয়া কোন
কোটা বা
বরাদ্দ নেই
তাদের। এটা
উপজেলা প্রশাসন
থেকে দেওয়ার
কথা। এমনকি
তিনি আরও
বলেন, এইখানে
কোয়ারান্টাইন আছে
এবং সেইখানে
যে মানুষ
আছে সেটাও
তিনি জানেননা।
এব্যাপারে তার
কিছু করার
নেই তাই
বিষয়টি ইউএনও
কে জানাতে
বলেন তিনি।
এই
বিষয়ে উপজেলা
নির্বাহী কর্মকর্তা
পিয়াংকা দেবী
পাল বলেন,
যেহেতু এইটা
পৌরসভার মধ্যে
এবং কোয়ারান্টাইনে
থাকা পরিবার
পৌর এলাকার
বাসিন্দা সেহেতু,
উক্ত পরিবারের
দ্বায়িত্ব পৌর
মেয়রের। পৌর
এলাকায় উপজেলা
প্রশাসনের কোন
বরাদ্দ নেই।
তিনি আরও
বলেন, বরাদ্দ
না থাকলেও
আজকে শুক্রবার
(০১ মে)
বিষয়টি জানার
পরে উপজেলা
প্রশাসনের পক্ষ
থেকে ওই
সদস্যদের বাড়িতে
কিছু খাদ্য
সামগ্রী পৌছে
দিয়েছেন।
এদিকে
পৌরসভা এবং
উপজেলা প্রশাসনের
এমন ছোড়াছুড়ি
মধ্যে কোয়ারান্টাইনে
থাকা ওই
সদস্যদের কষ্টের
কথা জানতে
পেয়ে বাগাতিপাড়া
মডেল থানার
অফিসার ইনচার্জ
আব্দুল মতিন
কিছু খাদ্য
সামগ্রী তাদের
পরিবারের কাছে
পৌঁছে দেন।
আব্দুল
মতিন বলেন,
আমি পৌর,
ইউনিয়ন বা
উপজেলা দেখিনা,
এই মহামারির
সময় অসহায়
মানুষের পাশে
দাড়াতে হবে
তাই আমি
এমন খবর
পেয়েই ওই
পরিবারের কাছে
সাধ্যমতো কিছু
খাদ্য সামগ্রী
পাঠিয়েছি। এইটা
আমার নৈতিক
দায়িত্ব বলে
আমি মনে
করি।
0 মন্তব্যসমূহ