মোহাম্মদ হায়দার আলী, বিশেষ প্রতিনিধিঃ
যাকাত এর শাড়ীকে না বলুন। নভেল করোনা ভাইরাস সৃষ্ট বৈশ্বিক মহামারীর দিনে অন্তত যাকাতের টাকা টা জনে জনে হাতে হাতে দিন। উপকৃত হবে গরীবরা।
প্রায় অনেক জায়গায় একটি প্রথা চালু আছে যে, রমজান মাসে ও রমজান পরবর্তী ঈদ উপলক্ষে ধনীরা গরীবজন কে যাকাতের শাড়ী দিয়ে থাকেন, এতে তাদের তেমন কোন উপকার হয় না। আর বর্তামান সময়ে যদি গরীবদের কে শাড়ীর বদলে টাকা দেয়া হয় তো তারা হয়ত কিছুটা উপকৃত হবে।
এ বিষয়ে একটি সতর্কতা ও পরামর্শ মুলক পোস্ট পাওয়া যায়, শাহাজাদা সৈয়দ গোলাম মোরশেদ (মাঃ) এর ফেসবুক ওয়ালে।পাঠকের জন্য তা হুবহু তুলে ধরা হলঃ-শাহাজাদা বলেন, যাকাত আদায়ের সত্যিই ইচ্ছা থাকলে শাড়ি কেন? শাড়ি গরীবের কী উপকারে আসে? তাও আবার দুই শ’ টাকার ‘যাকাতের শাড়ি’? তারা এসব শাড়ি সংগ্রহ করে পুনরায় শ’ দেড়শ’ তে বিক্রয় করে। এরপর অল্প যা কিছু তরল টাকা সংগ্রহ হয়, তা-ই তাদের সম্বল। এর চেয়ে দুইশ টাকা হাতে দিয়ে দিলে কষ্টটা কম হত না?
আর দুই শ’ টাকায়ই বা কী হয়! ‘যাকাতের শাড়ি’ না দিয়ে ‘যাকাতের গাড়ি, যাকাতের সাইকেল, যাকাতের রিক্সা, যাকাতের সেলাই মেশিন, যাকাতের কম্পিউটার, ল্যাপটপ’ দেয়া হোক, যা দিয়ে তারা চলতে পারে , যদি এভাবে ঢাকঢোল পিটিয়ে দিতেই হয়! যাকাত গরীবের হক, ধনীর সম্পদে। এটা ঠিক অনুদান না। এর ট্রিটমেন্ট ঋণের মতো। অর্থাৎ ব্যক্তি যেন যাকাত পরিমাণ টাকার ঋণী হয়ে গেল। এখন যত দ্রুত সম্ভব তা পরিশোধে ব্যস্ত হতে হবে। যেহেতু এটা ঋণ/ দায়ের মতো, তাই তার হিসাবটা হতে হবে পুঙ্খানুপুঙ্খ।
ঋণের ক্ষেত্রে যেমন যিনি পাওনাদার, তাকে খুঁজে বের করে পরিশোধ করতে হয়, এখানেও ঠিক যাকাতের হকদারদেরকে খুঁজে বের করে যাকাত আদায় করতে হবে। এর মাথাব্যথা যাকাতদাতার, গ্রহীতার নয়।
অবশেষে তিনি খাজা ওসমান ফারুকী কে প্রীতিময় কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন বিশেষিত কারনে।মওলায়ে কায়েনাতের দয়া হউক।
0 মন্তব্যসমূহ