নিউজ ডেস্কঃ
বিশ্বজুড়ে ভয়াবহ হয়ে উঠেছে করোনা পরিস্থিতি। মহামারিটি এরই মধ্যে বিশ্বের ১৯৮ টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে। আক্রান্ত হয়েছে ৪ লাখ ৭৫ হাজার ৮৯০ জন। মৃত্যু হয়েছে ২১ হাজার ৩৬৭ জনের। মারাত্মক প্রাণঘাতী এই ভাইরাসকে রুখতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। গৃহবন্দি হয়েছে প্রায় ২০০ কোটি মানুষ। এরই মধ্যে ৩৮০ বারেরও অধিকবার জিনের বদল ঘটিয়ে ভাইরাসটি আরও শক্তিশালী হয়েছে। একে কিভাবে রুখা যাবে সেটা খুঁজতেই গলদঘর্ম বিশ্বের তাবৎ বাঘা বাঘা বিজ্ঞানী ও চিকিৎসকরা।
তবে সংক্রামক এই রোগের উৎস সম্পর্কে জানতে গিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছেন আইসল্যান্ডের গবেষকরা। ইউরোপের ছোট্ট এই দেশটিতে জনসংখ্যা মাত্র ৩ লাখ ৬৪ হাজার। সে জন্য সরকার সেখানে কোনো লকডাউন বা কারফিউ চাপিয়ে না দিয়ে দেশের সব জনগণের করোনা টেস্ট করার সিদ্ধান্ত নেয়। সেখানেই দেখা গেছে অবাক করা সেই তথ্য।
রবিবার রাত থেকে এখন পর্যন্ত দেশটির স্বাস্থ্য বিভাগ এবং বায়োটেকনোলজি ফার্ম ডিকোড জেনেটিক্স ১০ হাজার ৩০০ জনেরও বেশি মানুষকে পরীক্ষা করেছেন। এখন পর্যন্ত ৩৫ হাজার মানুষের কোভিড-১৯ পরীক্ষা করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। তবে জনসংখ্যার অনুপাতে মাথাপিছু পরীক্ষার তুলনায় আইসল্যান্ডের এই সংখ্যা অনেক বেশি। এটাই মাথাপিছু হিসাবে বিশ্বের সবচেয়ে বড় করোনা পরীক্ষা বলে দাবি করেছে দেশটির কর্তৃপক্ষ।
তবে আইসল্যান্ডের পরীক্ষা অন্যান্য দেশের মতো নয়। অন্যদেশে লোকদের মাঝে করোনার লক্ষণ দেখা দিলেই কেবল পরীক্ষা করা হয়। অথবা কোন করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংস্পর্শে আসলে পরীক্ষা করা হয়। আইসল্যান্ড একমাত্র দেশ যারা করোনার কোন লক্ষণ না থাকলেও বিপুল সংখ্যক মানুষকে পরীক্ষা করেছে। এমনকি এসব লোকেরা কোন করোনায় আক্রান্তের সংস্পর্শেরও আসেননি। এমনকি পর্যায়ক্রমে দেশের সব মানুষকে করোনা পরীক্ষা করা হবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
গবেষণায় আইসল্যান্ডে ২১৮ জনের শরীরে করোনা পজেটিভ পাওয়া গেছে। পরীক্ষায় যে ২১৮ জন করোনা পজেটিভ পাওয়া গেছে তাদের অর্ধেকের মাঝে করোনা ভাইরাসজনিত কোনো লক্ষণ ছিল না। এই তথ্য করোনাভাইরাস গবেষণায় গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখবে।
এটি বৈজ্ঞানিক গবেষণার নতুন ধারা সুচিত করেছে। এই ঘটনা এটাই প্রমাণ করেছে যে, ভাইরাসজনিত লক্ষণ নেই এমন লোকদের মধ্যেও ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়েছে করোনভাইরাস। এমনকি যাদের মাঝে অসুস্থতার বিন্দুমাত্র লক্ষণ নেই তাদের মাঝেও সুপ্ত অবস্থায় ছড়িয়েছে মারণ এই ভাইরাস।
অস্টিনের টেক্সাস ইউনিভার্সিটির গবেষকরা জানতে পেরেছেন যে, ১০ শতাংশেরও বেশি রোগী ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত এমন ব্যক্তির দ্বারা সংক্রামিত হয়েছেন তবে এখনও তাদের মাঝে কোন লক্ষণ প্রকাশ পায়নি।
আইসল্যান্ডের চিফ এপিডেমিওলজিস্ট থোরলফার গনসন বাজফিড নিউজকে বলেছেন, 'ডিকোড জেনেটিক্সের প্রাথমিক ফলাফলগুলি ইঙ্গিত দেয় যে, সাধারণ জনসংখ্যার কম সংখ্যক ভাইরাস সংক্রামিত হয়েছে এবং যারা পজেটিভ হয়েছেন তাদের প্রায় অর্ধেকই লক্ষণহীন। বাকি অর্ধেক মানুষের মাঝে মাঝারি শীত-জাতীয় লক্ষণ দেখা যায়।'
আইসল্যান্ড কর্তৃপক্ষ বলেছে যে, তারা বিশ্বের অন্য কোথাও যেখানে উচ্চ জনসংখ্যার হার রয়েছে সেখানে সাধারণ নাগরিকদের মাঝে একই ধরণের পরীক্ষা চালাবেন। সিদ্ধান্তে আসার জন্য এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
গনসন বলেছিলেন,আইসল্যান্ডের স্বল্প জনসংখ্যা দেশটির স্বাস্থ্য বিভাগ ও চিকিৎসা গবেষণা সংস্থা ডিকোড জেনেটিক্সের এমন বৃহত্তর পরীক্ষার জন্য দারুন ভুমিকা রেখেছে। এখন গবেষকরা এটা বৃহত্তর স্কেলে টেস্টিংয়ের প্রস্তাব দিয়েছেন। এই তথ্য ভবিষ্যতে ভাইরাসের বৈজ্ঞানিক গবেষণার জন্য একটি মূল্যবান উপাত্ত হবে।'
উল্লেখ্য, ওয়ার্ল্ড ওমিটারের দেওয়া তথ্য মতে, আইসল্যান্ডে এখন পর্যন্ত ৭৩৭ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। মৃত্যু হয়েছে দুই জনের।
/আল আরাবিয়া।
বিশ্বজুড়ে ভয়াবহ হয়ে উঠেছে করোনা পরিস্থিতি। মহামারিটি এরই মধ্যে বিশ্বের ১৯৮ টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে। আক্রান্ত হয়েছে ৪ লাখ ৭৫ হাজার ৮৯০ জন। মৃত্যু হয়েছে ২১ হাজার ৩৬৭ জনের। মারাত্মক প্রাণঘাতী এই ভাইরাসকে রুখতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। গৃহবন্দি হয়েছে প্রায় ২০০ কোটি মানুষ। এরই মধ্যে ৩৮০ বারেরও অধিকবার জিনের বদল ঘটিয়ে ভাইরাসটি আরও শক্তিশালী হয়েছে। একে কিভাবে রুখা যাবে সেটা খুঁজতেই গলদঘর্ম বিশ্বের তাবৎ বাঘা বাঘা বিজ্ঞানী ও চিকিৎসকরা।
তবে সংক্রামক এই রোগের উৎস সম্পর্কে জানতে গিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছেন আইসল্যান্ডের গবেষকরা। ইউরোপের ছোট্ট এই দেশটিতে জনসংখ্যা মাত্র ৩ লাখ ৬৪ হাজার। সে জন্য সরকার সেখানে কোনো লকডাউন বা কারফিউ চাপিয়ে না দিয়ে দেশের সব জনগণের করোনা টেস্ট করার সিদ্ধান্ত নেয়। সেখানেই দেখা গেছে অবাক করা সেই তথ্য।
রবিবার রাত থেকে এখন পর্যন্ত দেশটির স্বাস্থ্য বিভাগ এবং বায়োটেকনোলজি ফার্ম ডিকোড জেনেটিক্স ১০ হাজার ৩০০ জনেরও বেশি মানুষকে পরীক্ষা করেছেন। এখন পর্যন্ত ৩৫ হাজার মানুষের কোভিড-১৯ পরীক্ষা করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। তবে জনসংখ্যার অনুপাতে মাথাপিছু পরীক্ষার তুলনায় আইসল্যান্ডের এই সংখ্যা অনেক বেশি। এটাই মাথাপিছু হিসাবে বিশ্বের সবচেয়ে বড় করোনা পরীক্ষা বলে দাবি করেছে দেশটির কর্তৃপক্ষ।
তবে আইসল্যান্ডের পরীক্ষা অন্যান্য দেশের মতো নয়। অন্যদেশে লোকদের মাঝে করোনার লক্ষণ দেখা দিলেই কেবল পরীক্ষা করা হয়। অথবা কোন করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংস্পর্শে আসলে পরীক্ষা করা হয়। আইসল্যান্ড একমাত্র দেশ যারা করোনার কোন লক্ষণ না থাকলেও বিপুল সংখ্যক মানুষকে পরীক্ষা করেছে। এমনকি এসব লোকেরা কোন করোনায় আক্রান্তের সংস্পর্শেরও আসেননি। এমনকি পর্যায়ক্রমে দেশের সব মানুষকে করোনা পরীক্ষা করা হবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
গবেষণায় আইসল্যান্ডে ২১৮ জনের শরীরে করোনা পজেটিভ পাওয়া গেছে। পরীক্ষায় যে ২১৮ জন করোনা পজেটিভ পাওয়া গেছে তাদের অর্ধেকের মাঝে করোনা ভাইরাসজনিত কোনো লক্ষণ ছিল না। এই তথ্য করোনাভাইরাস গবেষণায় গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখবে।
এটি বৈজ্ঞানিক গবেষণার নতুন ধারা সুচিত করেছে। এই ঘটনা এটাই প্রমাণ করেছে যে, ভাইরাসজনিত লক্ষণ নেই এমন লোকদের মধ্যেও ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়েছে করোনভাইরাস। এমনকি যাদের মাঝে অসুস্থতার বিন্দুমাত্র লক্ষণ নেই তাদের মাঝেও সুপ্ত অবস্থায় ছড়িয়েছে মারণ এই ভাইরাস।
অস্টিনের টেক্সাস ইউনিভার্সিটির গবেষকরা জানতে পেরেছেন যে, ১০ শতাংশেরও বেশি রোগী ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত এমন ব্যক্তির দ্বারা সংক্রামিত হয়েছেন তবে এখনও তাদের মাঝে কোন লক্ষণ প্রকাশ পায়নি।
আইসল্যান্ডের চিফ এপিডেমিওলজিস্ট থোরলফার গনসন বাজফিড নিউজকে বলেছেন, 'ডিকোড জেনেটিক্সের প্রাথমিক ফলাফলগুলি ইঙ্গিত দেয় যে, সাধারণ জনসংখ্যার কম সংখ্যক ভাইরাস সংক্রামিত হয়েছে এবং যারা পজেটিভ হয়েছেন তাদের প্রায় অর্ধেকই লক্ষণহীন। বাকি অর্ধেক মানুষের মাঝে মাঝারি শীত-জাতীয় লক্ষণ দেখা যায়।'
আইসল্যান্ড কর্তৃপক্ষ বলেছে যে, তারা বিশ্বের অন্য কোথাও যেখানে উচ্চ জনসংখ্যার হার রয়েছে সেখানে সাধারণ নাগরিকদের মাঝে একই ধরণের পরীক্ষা চালাবেন। সিদ্ধান্তে আসার জন্য এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
গনসন বলেছিলেন,আইসল্যান্ডের স্বল্প জনসংখ্যা দেশটির স্বাস্থ্য বিভাগ ও চিকিৎসা গবেষণা সংস্থা ডিকোড জেনেটিক্সের এমন বৃহত্তর পরীক্ষার জন্য দারুন ভুমিকা রেখেছে। এখন গবেষকরা এটা বৃহত্তর স্কেলে টেস্টিংয়ের প্রস্তাব দিয়েছেন। এই তথ্য ভবিষ্যতে ভাইরাসের বৈজ্ঞানিক গবেষণার জন্য একটি মূল্যবান উপাত্ত হবে।'
উল্লেখ্য, ওয়ার্ল্ড ওমিটারের দেওয়া তথ্য মতে, আইসল্যান্ডে এখন পর্যন্ত ৭৩৭ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। মৃত্যু হয়েছে দুই জনের।
/আল আরাবিয়া।
0 মন্তব্যসমূহ