স্টাফ রিপোর্টার নীলফামারীঃ নীলফামারীতে নতুন করে এক নারী সহ
আরো পাচজনের করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এদের মধ্যে নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার একজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় রংপুর মেডিকেল কলেজ(রমেক) হাসপাতালে মৃত্যু বরন করেছেন। এনিয়ে জেলায় করোনা রোগীর সংখ্যা দাঁড়ালো ১৫জন। যদিও
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ মোট আক্রান্তে সংখ্যা বলছেন ১৪জন।তবে স্থানীয় সুত্রে জেলার সৈয়দপুরের এক বাসিন্দা সহ
১৫জনই আক্রান্তের বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া গেছে।এ ব্যাপারে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের সমন্বয়ের যতেষ্ট অভাব রয়েছে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ রনজিৎ কুমার বর্মন জানান, দিনাজপুরের এম আব্দুর রহিম
মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরীক্ষার রিপোর্ট অনুযায়ী মঙ্গলবার(২৮ এপ্রিল) সকালে
ও বিকেলে জলঢাকা উপজেলার এক নারী ও
এক শিক্ষক সহ ৩ জন
ও রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের রিপোর্টে জেলার কিশোরীগঞ্জ উপজেলার ১জন সহ চারজন করোনায়
আক্রান্ত হয়। এদের মধ্যে এই রিপোর্ট
প্রকাশ হবার আগেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার ওই ব্যক্তি গত
২৬ এপ্রিল মৃত্যু বরন করেন। জানা
গেছে, ৬০ বছরের ওই
ব্যক্তি উপজেলার বড়ভিটা ইউনিয়নের সোহরাব মাষ্টারপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুর রহমানের ছেলের গত ২৫ এপ্রিল
পেটে ব্যথা নিয়ে পরিবারের লোকজন তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজের সার্জারি ওয়ার্ডে ভর্তি করলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৬ এপ্রিল সেই
ব্যক্তির মৃত্যুবরন করেন। মৃত্যু পর রংপুর মেডিকেল
কর্তৃপক্ষ তার নমুনা সংগ্রহ করে মৃতদেহ তার পরিবারের কাছে প্রেরণ করেন।মঙ্গলবার(২৮এপ্রিল) মৃত সেই ব্যাক্তির শরীরের নমুনায় করোনা পজেটিভ রিপোর্ট আসে। অপরদিকে
একইদিনের(২৮এপ্রিল) রিপোর্টে জলঢাকা উপজেলার গোলনা ইউনিয়নের চিড়াভিজা গোলনার ডাঙ্গাপাড়া দুইজন
ও সদরের একজন সহ নতুন করে
তিনজন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।তাদের তিনজনকে নীলফামারী সদর জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশনে নেয়া হয়েছে।বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জলঢাকা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আবু হাসান রেজওয়ানুল কবীর। অন্যদিকে
নীলফামারীর সৈয়দপুরে নোভেল করোনা ভাইরাস পজেটিভ একজন রোগী পাওয়া গেছে। করোনায় আক্রান্ত হওয়ার কথা গোপন করে বাড়িতে অবস্থানকারী ওই ব্যক্তিকে মঙ্গলবার(২৮ এপ্রিল) ভোর
রাত ৪ টার দিকে
শহরের কাজিপাড়া থেকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। সৈয়দপুর
১০০ শয্যা হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, জাহাঙ্গীর আলম পার্শ্ববর্তী রংপুরের তাঁরাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল টেকনোলজিস্ট।করোনা ভাইরাস প্রাদূর্ভাবের পর থেকে তিনি
সন্দেহভাজনদের করোনা নমুনা সংগ্রহের কাজ করছিলেন। তাদের মধ্যে নমুনা সংগ্রহকারী দলের ৩ জনের সন্দেহ
হলে নিজ উদ্যোগেই তাদের করোনা পরীক্ষা করা প্রয়োজন মনে করে নিজেদের নমুনাও প্রেরণ করেন রংপুরে। গত ২৭ এপ্রিল
সন্ধায় তাদের মধ্যে জাহাঙ্গীর আলমসহ ২ জনের রিপোর্টে
করোনা পজেটিভ আসে। সৈয়দপুর শহরের কাজিপাড়া পানির ট্যাংকির পূর্বপাশের এক বাড়িতে তিনি
স্ব-পরিবারে ভাড়া থাকেন ও প্রতিদিন রংপুর
তাঁরাগঞ্জ থেকে সৈয়দপুরে যাতায়াত করতেন। বিষয়টি জানতে পেরে প্রশাসনের সহযোগিতায় গত সোমবার রাতে
তার বাড়ি থেকে তাকে সৈয়দপুর ১০০ শয্যা হাসপাতালে নেয়া হয়। পরে তাকে ভোর ৪ টার দিকে
রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। সে সাথে পরিবারের
অন্যান্য ৪ সদস্যকে হোম
কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তাদেরও নমুনা সংগ্রহ করে রংপুরে পাঠানো হবে। এ
ব্যাপারে সৈয়দপুর করোনা ইউনিটের প্রধান সমন্বয়ক ডাঃ শহিদুজ্জামান জানান, করোনা রোগীদের নমুনা সংগ্রহ করতে গিয়ে হয়তো তিনি করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। কিন্তু বাড়িতে অবস্থান করে পরিবারের সকলকেই ঝুঁকিতে ফেলেছেন। যে কারণে এখন
তাদেরও নমুনা সংগ্রহ করা হবে। সৈয়দপুর
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাসিম আহমেদ জানান, একজন স্বাস্থ্যকর্মী হিসেবে করোনার ভয়াবহতা সম্পর্কে তিনি খুব ভাল করেই অবগত আছেন। তারপরও তিনি স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে গেছেন। কিন্তু দূর্ভাগ্যক্রমে তিনি নিজেই করোনা পজেটিভ আক্রান্ত হয়েছেন। এই প্রথম সৈয়দপুরে
করোনায় আক্রান্ত একজনকে পাওয়া গেল। এদিকে
জেলায় মোট ১৫জন আক্রান্তের মধ্যে এ পর্যন্ত ৪জন
সুস্থ্য হয়ে বাড়ি ফেরার খবর পাওয়া গেছে।জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ রনজিৎ কুমার বর্মন জানান, আক্রান্তরা বেশিরভাগ ঢাকা,নারায়নগঞ্জ,গাজীপুর,কুমিল্লা থেকে নীলফামারীতে আসে। আক্রান্ত্রদের মধ্যে জেলার কিশোরীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ও ডিমলার দুইজন
সহ ৪জন সুস্থ্য হয়ে উঠেছেন। তাদের দুই দফায় নমুনা পরীক্ষা শেষে করোনার নেগেটিভ রিপোর্ট পাওয়ার পর মঙ্গলবার হাসপাতালের
আইসোলেশন ওয়ার্ড থেকে ছাড়পত্র দেয়া হলে তারা নিজ নিজ বাড়ি ফিরে যায়।
- হোম
- বাঁশখালী
- _পুকুরিয়া
- _সাধনপুর
- _খানখানাবাদ
- _বাহারছড়া
- _কালীপুর
- _বৈলছড়ি
- _কাথরিয়া
- _সরল
- _জলদী
- _গণ্ডামারা
- _শীলকূপ
- _চাম্বল
- _পুঁইছড়ি
- _ছনুয়া
- _শেখেরখীল
- কক্সবাজার
- _রামু
- _ঈদগাঁও
- _চকরিয়া
- _পেকুয়া
- _উখিয়া
- _টেকনাফ
- _কুতুবদিয়া
- _মহেশখালী
- চট্টগ্রাম
- _আনোয়ারা
- _বাঁশখালী
- _সাতকানিয়া
- _লোহাগাড়া
- _চন্দনাইশ
- _পটিয়া
- _কর্ণফুলী
- _সীতাকুন্ড
- _মীরসরাই
- _সন্দ্বীপ
- _বোয়ালখালী
- _হাটহাজারী
- _রাঙ্গুনিয়া
- _রাউজান
- _ফটিকছড়ি
- চট্টগ্রাম মহানগর
- _চান্দগাঁও
- _বন্দর
- _ডবলমুরিং
- _কোতোয়ালী
- _পাহাড়তলী
- _পাঁচলাইশ
- _বায়েজিদ বোস্তামী
- _পতেঙ্গা
- _হালিশহর
- _খুলশী
- _বাকলিয়া
- _কর্ণফুলি
- _চকবাজার
- _আকবর শাহ
- _সদরঘাট
- _ইপিজেড
- বাংলাদেশ
- _ঢাকা
- _চট্টগ্রাম
- _রাজশাহী
- _খুলনা
- _সিলেট
- _বরিশাল
- _রংপুর
- _ময়মনসিংহ
- জাতীয়
- রাজনীতি
- অর্থনীতি
- খেলাধুলা
- _ক্রিকেট
- _ফুটবল
- বিনোদন
- অন্যান্য
0 মন্তব্যসমূহ