ওরস মাহফিল বন্ধ করতে গিয়ে হামলার শিকার পুলিশ, গ্রেফতার ২৪

নিউজ ডেস্কঃ
বগুড়ায় এক পীরের মাজারে চলা ওরস মাহফিল বন্ধ করার কথা বলায় মারপিটের শিকার হয়েছেন দুই পুলিশ কর্মকর্তা। পীরের অনুসারীরা তাদের ওপর হামলা চালিয়ে পিটিয়ে মারাত্মকভাবে আহত করে । এ ঘটনার পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে সাবেক পৌর কাউন্সিল নুরুল ইসলাম নুরু ও শফিকুল ইসলাম নয়নসহ ওই পীরের ২৪ মুরিদকে আটক করে। আজ বৃহস্পতিবার তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে গ্রেফতার দেখানো হয়।

গতকাল রাতে শহরের গোয়ালগাড়িতে শাহসুফি আলহাজ্ব হযরত মাওলানা ছেরাজুল হক চিশতী (রহ.) মাজার প্রাঙ্গণে এ ঘটনা ঘটে। আহত পুলিশ পরিদর্শক নান্নু খান ও সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) জাহিদকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। 

করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জেলা প্রশাসকের নির্দেশনা অমান্য করে পীরের আস্তানায় বার্ষিক ওরস মাহফিলের আয়োজন করা হয়। দুপুরের পর থেকে সেখানে বিভিন্ন এলাকার নারী ও পুরুষ মুরিদেরা আসতে শুরু করেন। সেখানে গরু জবাই করে রান্নার আয়োজনও করা হয়। এমতাবস্থায় ওরস মাহফিল বন্ধ রাখার জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে কয়েক দফা নিষেধ করা হয়। সন্ধ্যার পর পীরের আস্তানায় নারী-পুরুষরা সম্মিলিতভাবে জিকির শুরু করেন। এলাকার লোকজনের অভিযোগের প্রেক্ষিতে রাত নয়টার দিকে উপ-শহর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ নান্নু খানসহ তিনজন পুলিশ সেখানে গিয়ে করোনাভাইরাসের প্রার্দুভাবের কথা বলে ওরস মাহফিল বন্ধ করতে বলেন। এতে পীরের অনুসারীরা দুই পুলিশকে তাদের আস্তানায় আটকে রেখে বেদম মারপিট করে।

খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে আহত দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে উদ্ধার করেন। বিপুল সংখ্যক পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পীরের আস্তানা সংলগ্ন একটি চারতলা বাসভবনে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেন মুরিদরা। পরে বগুড়া সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তী (মিডিয়া) হ্যান্ডমাইকে তাদেরকে আত্মসমর্পনের আহ্বান জানান। পরে রাত ১০টার দিকে ভবনের বিভিন্ন কক্ষ থেকে অর্ধ শতাধিক নারী-পুরুষ ও শিশু বের হয়ে আসেন।পরে পুলিশ পীরের অনুসারী ২৪ জন পুরুষকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।

বগুড়া সদর থানার ওসি এসএম বদিউজ্জামান বৃহস্পতিবার দুপুরে জানান, পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় আটক ২৪ জনের নামে মামলা দায়ের করা হয়েছে। তাদের জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। 
/ইত্তেফাক।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ