ডেক্স নিউজঃ
কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারা রংমহল এলাকায় হাফেজ আবু দারদা ও আব্দুল্লাহ আল নোমান নামের দুই সহোদরকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে মারাত্মক আহত করার অভিযোগ উঠেছে। তারা ওই এলাকার মৃত ডাক্তার আবু তাহেরের ছেলে। ঘটনার সঙ্গে বখতিয়ার উদ্দিন ভুট্টু নামের পুলিশ কর্মকর্তা জড়িত বলে ভিকটিমের স্বজনেরা জানিয়েছে। সঙ্গে ছিলেন জসিম উদ্দিন, ওমর ফারুক, ওবাইদুল হক, মো. মামুনসহ বেশ কিছু সশস্ত্র লোক। ১৭ ফেব্রুয়ারীর ঘটনায় পুলিশী ক্ষমতা দেখিয়ে উল্টো মামলা দিয়ে ঘরছাড়া করেছে আহতদের। ঘটনার মূল নায়ক হিসেবে অভিযুক্ত বখতিয়ার উদ্দিন ভুট্টু ডুলাহাজারা বৈরাগীরখিল এলাকার মৃত ফয়েজ আহমদের ছেলে। তিনি পার্বত্য এলাকা রাঙামাটির বাঘাইছড়ি থানার এসআই, বর্তমানে উখিয়ার ময়নাঘোনা রোহিঙ্গা ক্যাম্পে প্রেষণে কর্মরত। পৈশাচিক ঘটনায় জতিড়দের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী জানিয়ে বিক্ষোভ করেছে এলাকাবাসী।
রবিবার (১ মার্চ) দুপুরে কক্সবাজার আদালতপাড়ায় বিক্ষোভে বক্তব্য দেন -ভিকটিমদের ছোট ভাই কামরুল হাসান, আবদুল্লাহ আল আরমান, চাচা সৈয়দুল হক মুরাদ, কক্সবাজারের বন্ধু আরফাত। ব্যানার, প্লে-কার্ড, ফেস্টুনে রক্তে লিখা প্রতিবাদমূখর শ্লোগানে মুখরিত হয় আদালতপাড়া। সবার দাবী, ‘নৃশংস হামলার বিচার চাই’, ‘পুলিশের ক্ষমতা অপব্যবহারকারীর শস্তি চাই।’
বিক্ষোভে বক্তারা বলেন, পারিবারিক জমিজমার বিরোধ নিয়ে দুই পক্ষের আত্মীয় স্বজনের মধ্যে সালিশ মীমাংসার বৈঠক চলছিল। মান্যগন্য ব্যক্তিদের মধ্যস্ততায় চলমান বৈঠকে প্রতিপক্ষের অতর্কিত স্বশস্ত্র হামলা, কুপাঘাতে গুরুতর রক্তাক্ত হন হাফেজ আবু দারদা ও আব্দুল্লাহ আল নোমান। ব্যাপক মারধর করা হয় অপর সহোদর কামরুল হাসান ও তাদের মা রহিমা আক্তারকে। কাপড়চোপড় টানা হেছড়া ও শ্লিলতাহানির মতো ঘটনাও ঘটানো হয়। ন্যাক্কারজনক ঘটনা প্রত্যক্ষ করেছে স্থানীয়রা। এ ঘটনায় উল্টো আহতদের বিরুদ্ধে মামলা দেয়া হয়েছে। যে মামলার আসামী হন কুপাঘাতে ক্ষতবিক্ষত হাফেজ আবু দারদা ও আব্দুল্লাহ আল নোমানসহ পরিবারের ৭ সদস্য। প্রধান অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তা বখতিয়ার উদ্দিন ভুট্টুর স্ত্রী রেহেনা পারভীন বাদি হয়ে চকরিয়া থানায় মামলাটি দায়ের করেন। যার থানা মামলা নং-২৫/২০২০। অপরদিকে, এ ঘটনায় ভিকটিম আবদুল্লাহ আল নোমানের ছোট ভাই ছাত্রলীগ নেতা আবদুল্লাহ আল আরমান বাদি হয়ে চকরিয়া থানায় মামলা করেছেন। যার নং-২৪/২০২০। এ মামলায় এএসআই বখতিয়ার উদ্দিন ভুট্টসহ ৯জনকে এজাহারভুক্ত আসামী করা হয়েছে। মামলা নিয়ে পুলিশের আচরণ ও ভূমিকা ‘রহস্যজনক’ মন্তব্য করেছে ভিকটিম পরিবারের সদস্যরা। তবে, দুই পক্ষের দায়েরকৃত মামলা সঠিকভাবে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান চকরিয়া থানার ওসি মো. হাবিবুর রহমান। এদিকে, একজন পুলিশ কর্মকর্তা হিসেবে সরাসরি আইন ভঙ্গ করা মারাত্মক চোখে দেখছে স্থানীয় বাসিন্দারা। প্রধানমন্ত্রীর অর্জন ও সুনামকে ক্ষুণ্ন করতে এরকম দু’য়েকজন সরকারী সদস্যই যথেষ্ট মন্তব্য এলাকাবাসীর।
/সাঙ্গু।
0 মন্তব্যসমূহ