ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে ৭ম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনায় পুলিশ গত বৃহষ্পতিবার রাতে ২ ধর্ষককে গ্রেফতার করেছে। শুক্রবার গ্রেফতারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।
ধর্ষণের শিকার ছাত্রীর পরিরবার সূত্রে জানা গেছে, গোকর্ণ ইউনিয়নের ব্রাহ্মণশাসন গ্রামে ওই ছাত্রীর বাড়ি। বাড়ির পাশেই ওই ছাত্রীর পরিবারের একটি মুদি মালের দোকান রয়েছে।
দোকানটি তার বাবা ও মা মিলে চালান। প্রতিবেশী ফারুক মিয়া (২২) ও আজহারুল ইসলাম (১৯) প্রায়ই বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়ার পথে ওই ছাত্রীকে আপত্তিকর কথা বলত এবং উত্ত্যক্ত করত। এমনকি বাবার সঙ্গে জমিতে কাজ করতে যাওয়ার সময়ও তারা ওই ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করত।
গত মঙ্গলবার রাত ১০টার নয়টার দিকে বাড়ির সংলগ্ন নিজেদের মুদিমালের দোকানের দিকে যাওয়ার সময় ওই ছাত্রীকে উড়না ধরে টান দেয় ফারুক। পরে তারা মুখ চেপে ধরে ওই ছাত্রীকে গ্রামের একটি নির্জন জায়গায় নিয়ে যায়। সেখানে তার মুখের ভেতর কাপড় দিয়ে চিৎকার না করতে হুমকি দেন। এক পর্যায়ে ফারুক ও আজহারুল মিলে ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করেন।
অজ্ঞান হয়ে গেলে মুদি দোকানের সামনের একটি ছাইয়ের স্তুপে ওই ছাত্রীকে রেখে তারা সেখান থেকে পালিয়ে যান।
রাত ১২টার দিকে খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে নাসিরনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায় তার বাবা-মা ও পরিবারের লোকজন। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ওই স্কুল ছাত্রীকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেন। গত বুধবার সকাল ১০টার দিকে ওই কিশোরীকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। ওই ঘটনায় ছাত্রীর পিতা বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন। পুলিশ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অপরাধে গ্রামের ফারুক মিয়া (২২) ও মাজহারুল হককে (১৯) গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেলা হাজতে প্রেরণ করেছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মর্কতা নাসিরনগর থানার পুলিশ পরির্দশক মো. কবীর হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে দুই ধর্ষককে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানোর বিষটি নিশ্চত করেছেন।
0 মন্তব্যসমূহ