নিউজ ডেস্কঃ
চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার এক ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের স্ত্রীর অসামাজিক কার্যকলাপরত একাধিক ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
এ নিয়ে গোটা চট্টগ্রামজুড়ে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। রাজনৈতিক মহলে নিন্দার ঝড় বইছে। বিভ্রান্তিকর পরিস্থিতির মধ্যে পড়েছে স্থানীয় আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা।
এ নিয়ে গোটা চট্টগ্রামজুড়ে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। রাজনৈতিক মহলে নিন্দার ঝড় বইছে। বিভ্রান্তিকর পরিস্থিতির মধ্যে পড়েছে স্থানীয় আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা।
ভাইরাল ভিডিওগুলোতে দেখা যায়, স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল আলম বাহাদুরের স্ত্রীর সঙ্গে একটি কক্ষে অবস্থান করছেন হাইলধর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মামুনুর রশিদ মামুন। সেখানে উভয়ে অবৈধভাবে শারীরিক সংস্পর্শে নানা অনৈতিক কার্যকলাপ করেন।
নিজ এলাকার দলীয় নেতার স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়া ও অনৈতিক সম্পর্কের ভিডিও দেখে এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।
মামুন হাইলধর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের ইউনুচ মিয়ার ছেলে।
স্থানীয় ও দলীয় সূত্রে জানা গেছে, মামুন আগে আওয়ামী লীগের রাজনীতি করেননি। তার পরিবারের সদস্যরা বিএনপি-জামায়াতের সক্রিয় সদস্য। আওয়ামী লীগ ধারাবাহিকভাবে দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর স্থানীয় সংসদ সদস্য সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদের একান্ত সচিব রিদওয়ানুল করিম চৌধুরী সায়েমের মাধ্যমে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের পদটি বাগিয়ে নেন।
সূত্র জানায়, মামুন এক সময় ঢাকায় একটি মশার কয়েল কোম্পানির সেলসম্যান ছিলেন। বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে তাকে সেখান থেকে বের করে দেওয়া হয়। পরে জাল সার্টিফিকেট তৈরি করে গাউছিয়া ফিড মিলে চাকরি নেয়। গাউছিয়া ফিড থেকে এসি আই ফিডে কিছুদিন চাকরি অবস্থায় কোম্পানির কাছে জাল সার্টিফিকেট প্রমাণ ও টাকা আত্মসাতের অভিযোগে তাকে জেলে দিতে চায়। কিন্তু সে হাতে-পায়ে ধরে সে যাত্রায় রক্ষা পায়।
তবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের পদ পেয়ে তার দাপট বেড়ে যায়। মানুষের জমি-দোকান দখলসহ নানা অপকর্মের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
এ প্রসঙ্গে মামুনুর রশিদ মামুন সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ভিডিওটা এডিট করে বানানো হয়েছে। আমার সাত ও তিন বছরের দুটো ছেলে আছে। এগুলো করার বয়স এখন আর নেই। আমি রাজনৈতিক গ্রুপিংয়ের শিকার। চাঁদাবাজি, দখলবাজি, টেন্ডারবাজিসহ কোনো অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত না। মন্ত্রী এলাকায় আসলে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আমাকে ডাকে। এগুলো অনেকের সহ্য হয় না, তাই আমার পেছনে কিছু লোক উঠে-পড়ে লেগেছে।
/আমার সংবাদ।
0 মন্তব্যসমূহ