ডেস্ক নিউজঃ
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সফরের মাঝেই ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে দেশটির বিতর্কিত নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ) বিরোধীদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংঘর্ষে এক পুলিশ সদস্যের প্রাণহানি ঘটেছে। সংঘর্ষে দিল্লি পুলিশের একজন ডেপুটি কমিশনারও আহত হয়েছেন। সোমবার সন্ধ্যার দিকে আহমেদাবাদ থেকে রাজধানী দিল্লিতে ফেরার কথা রয়েছে ট্রাম্পের; তার আগে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
গত ২৪ ঘণ্টায় দিল্লির উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বেশ কয়েক জায়গায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে সিএএ-বিরোধীদের কয়েক দফা সংঘর্ষ হয়। সোমবার বিকেলের দিকে দিল্লির মোজপুরে পুলিশের একজন হেড কনস্টেবল নিহত ও একজন ডেপুটি পুলিশ কমিশনার আহত হন।
এনডিটিভি বলছে, দিল্লির একাধিক স্থানে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের সমর্থক ও বিরোধীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এসময় তারা পরস্পরকে লক্ষ্য করে ইট-পাথর নিক্ষেপ করে। যানবাহন ও দোকানপাটে অগ্নিসংযোগ এবং ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনায় দিল্লির একাংশ রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।
দু'দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে সোমবার বেলা ১১টার দিকে গুজরাটের আহমেদাবাদে পৌঁছেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেখানে পৌঁছে বিশ্বের বৃহত্তম ক্রিকেট স্টেডিয়ামের উদ্বোধন করেন তিনি। সন্ধ্যার দিকে নয়াদিল্লিতে ট্রাম্পের পৌঁছানোর কথা রয়েছে; তার আগেই এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটলো।
রোববার দুপুর থেকেই নয়াদিল্লির জাফরাবাদে কয়েক হাজার নারী নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতায় বিক্ষোভ শুরু করেন। তখন থেকে জাফরাবাদেও উত্তেজনা বিরাজ করছে।
ইন্ডিয়া ট্যুডে বলছে, সোমবার সকালের দিকে মোজপুরে নাগরিকত্ব আইনবিরোধী বিক্ষোভস্থলে পুলিশের অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েন করা হয়। এ সময় নাগরিকত্ব আইনের সমর্থক ও বিরোধীদের পাল্টাপাল্টি ইটপাটকেল নিক্ষেপের সময় গুরুতর আহত হন পুলিশের হেড কনস্টেবল রতন লাল। বিক্ষোভকারীদের শান্ত করার চেষ্টার সময় হঠাৎ তার মাথায় ইটের আঘাত লাগে। পরে পাশের একটি হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
গত বছরের ১১ ডিসেম্বর ভারতের পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভায় বিতর্কিত নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পাস হয়। পরদিন রাষ্ট্রপতি এই বিলে স্বাক্ষর করলে সেটি আইনে পরিণত হয়। বিলটি আইনে পরিণত হওয়ার পর দেশজুড়ে বিক্ষোভ করছেন দেশটির হাজার হাজার মানুষ। বিক্ষোভের তীব্র দাবানল যায় দেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় আসাম, ত্রিপুরা, মেঘালয়, পশ্চিমবঙ্গসহ আরও বেশকিছু রাজ্যে। বিতর্কিত এ আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভের সময় দুই ডজনেরও বেশি মানুষের প্রাণহানি ঘটে।
0 মন্তব্যসমূহ