পাকিস্তানে জরুরি অবস্থা জারি! পঙ্গপাল তাড়াতে গুলি, টিয়ারগ্যাস, সাইরেন
পঙ্গপালের আক্রমণে জেরবার পাকিস্তান। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সরকার ইতোমধ্যে দেশটিতে জরুরি অবস্থা জারি করেছে। দেশটির পূর্বাঞ্চলীয় সিন্ধু প্রদেশে প্রথমে পঙ্গপালের আক্রমণ শুরু হলেও ধীরে ধীরে তা ছড়িয়ে পড়ছে বিভিন্ন অংশে। এতে জন-জীবন বিপর্যস্ত হওয়ার পাশাপাশি ফসলেরও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
পাকিস্তানি গণমাধ্যমগুলোর খবরে বলা হয়েছে, বেশ কিছুদিন ধরে সিন্ধু প্রদেশের ফসলি জমির ব্যাপক ক্ষতি করছে পঙ্গপাল। বর্তমানে সিন্ধু প্রদেশের অধিকাংশ জমির ফসল নষ্ট করে তারা ছড়িয়ে পড়ছে পাঞ্জাবের বিভিন্ন অংশে। এতে দেশটির পরিস্থিতি জটিল হয়ে পড়েছে।
পাকিস্তানি গণমাধ্যমগুলোর খবরে বলা হয়েছে, বেশ কিছুদিন ধরে সিন্ধু প্রদেশের ফসলি জমির ব্যাপক ক্ষতি করছে পঙ্গপাল। বর্তমানে সিন্ধু প্রদেশের অধিকাংশ জমির ফসল নষ্ট করে তারা ছড়িয়ে পড়ছে পাঞ্জাবের বিভিন্ন অংশে। এতে দেশটির পরিস্থিতি জটিল হয়ে পড়েছে।
পঙ্গপালের আক্রমণ ঠেকাতে চারটি প্রদেশের মন্ত্রী ও সরকারের নীতি-নির্ধারকদের নিয়ে গত শুক্রবার জরুরি বৈঠকে বসেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। বৈঠকে পঙ্গপালের আক্রমণ থেকে বাঁচতে জাতীয় জরুরি অবস্থার কথা ঘোষণা করেন তিনি।
ওই বৈঠকে একটি জাতীয় কর্মপরিকল্পনা অনুমোদিত হয়। যেখানে বর্তমানের এই সঙ্কট কাটিয়ে উঠতে ৭.৩ বিলিয়ন পাকিস্তানি রুপির প্রয়োজন বলে জানান ইমরান খান।
পঙ্গপালের প্রাদুর্ভাব রোধ করতে এবং শস্যের ক্ষতি রুখতে জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় সব ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণের ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
এর আগে, ২০১৯ সালের মার্চ মাসে পাকিস্তানে পঙ্গপালের আক্রমণ দেখা দেয়। সেই সময় সিন্ধু, দক্ষিণ পাঞ্জাব এবং খাইবার পাখতুনখাওয়াতে প্রায় ৯০ লাখ হেক্টর জমিতে ছড়িয়ে পড়েছিল পতঙ্গদের এই উপদ্রব। যার ফলে তখন ক্ষতি হয়েছিল কোটি কোটি টাকার ফসল।
/কালের কন্ঠ।
পূর্ব আফ্রিকার দেশ
কেনিয়া ও ইথিওপিয়ায় ফসলের ক্ষেতে পঙ্গপালের আক্রমণ ঠেকানোর জন্য
ব্যবহার করা হচ্ছে বন্দুক, টিয়ারগ্যাস এবং সাইরেন।
/বিবিসি।
0 মন্তব্যসমূহ