বগুড়ার নন্দীগ্রামে আলু চাষে লাভের
স্বপ্ন দেখছে কৃষকরা। সুজলা সুফলা শস্য শ্যামলা অপরূপ এই বাংলাদেশ। এদেশের মাটিতে
সবধরণের ফসল ফলে। তেমনি নন্দীগ্রাম উপজেলার মাটিতেও সবধরণের ফসল ফলে থাকে। এ উপজেলার ফসলি জমির মাটিতে উর্বরশক্তি অনেকটা
বেশি থাকায় বছরে ৩ বার ধানের চাষাবাদের পাশাপাশি রবিশস্যর চাষাবাদ করা হয়। এবারো
তাই হয়েছে। আমন ধান কাটার পরেই রবিশস্যর চাষাবাদ শরু করা হয়। এবারের রবি মৌসুমে
উপজেলায় ৪ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের আলু চাষ করা হয়েছে। ফসলি জমির
চিত্র অনেকটা ভালো রয়েছে। তাই আলুর বাম্পার ফলনের উজ্জ্বল সম্ভাবনা রয়েছে। উপজেলার
বীরপলি গ্রামের কৃষক রুহুল আমিন ১০০ বিঘা জমিতে ডায়মন্ড জাতের আলু চাষ করেছে।
বুড়ইল গ্রামের কৃষক মিলন কুমার ৩ বিঘা জমিতে ডায়মন্ড আলু চাষ করে। রিধইল গ্রামের
কৃষক সাইফুল ইসলাম ১০ বিঘা জমিতে ডায়মন্ড আলু চাষ করেছে। ডায়মন্ড জাতের আলু বিঘা
প্রতি ১২০ থেকে ১৩০ মন হারে ফলন হয়ে থাকে। এ উপজেলায় ডায়মন্ড, কার্ডিনাল, এস্ট্রিকস ও পাকড়ি
জাতের আলু চাষ হয়। কৃষকরা আলু চাষকে লাভজনক হিসেবে গণ্য করে আসছে। কারণ আলু ভালো
ফলন হলে বিঘা প্রতি ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা লাভ হয়। আর ধানের ভালো ফলন হলেও তেমন
লাভ হয় না। ধানের বাজার মূল্য কম থাকায় কৃষকরা লোকসানের অংক গুণে থাকে। এজন্য
কৃষকরা আলু চাষে ব্যাপক আগ্রহী হয়। শীতের ঘণকুয়াশা উপেক্ষা করে কৃষকরা আলুর জমি
পরিচর্যায় ব্যস্ত থাকে।উপজেলা
কৃষি কর্মকর্তা মশিদুল হক বলেন, এবারো এ উপজেলায় আলুর বাম্পার ফলন হবে। এতে কৃষকরা
অনেকটা লাভবান হবে এমনটাই আশা করছি। ইতোমধ্যেই নতুন আলু হাট-বাজারে উঠেছে। ৭০০
থেকে ৮০০ টাকা মণ দরে আলু বিক্রয় হচ্ছে। বর্তমান আলুর বাজার মূল্যে কৃষকরা অনেকটা
খুশি রয়েছে। উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা নাজমুল হক বলেন, আলুর
চাষ অনেকটা লাভজনক বলেই কৃষকরা আলু চাষে আগ্রহী হয়েছে। আমরাও মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের
বিভিন্নভাবে সহযোগীতা ও পরামর্শ দিয়ে আসছি।
0 মন্তব্যসমূহ