পিএম খালীর আদম ব্যবসায়ীর ফাঁদে সর্বস্বান্ত বিদেশগামী যুবকরা

পিএম খালীর আদম ব্যবসায়ীর ফাঁদে সর্বস্বান্ত বিদেশগামী যুবকরা

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
আদম ব্যবসায়ীর খপ্পরে পড়ে প্রতি নিয়ত সর্বশান্ত হচ্ছে শহর- গ্রামাঞ্চলের হাজার হাজার বিদেশগামী সাধারন বেকার যুবক। প্রতারক আদম ব্যবসায়ীদের কাছে এ যেন নিত্য দিনের ঘটনা হয়ে দাড়িয়েছে। কক্সবাজার সদর উপজেলার আদম ব্যবসায়ী প্রতারক জসিম ও হারুন এর কাছে মোটা অঙ্কের টাকা দিলে বিদেশে মিলবে ভালো বেতন ও ভালো চাকরী। এই রকম প্রলোভন দেখিয়ে গ্রামের বহু বেকার যুবকের পরিবারের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে অভিযুক্ত আদম ব্যবসায়ী এই জসিম ও হারুন এর বিরুদ্ধে।

এবিষয়ে অভিযুক্ত জসিম-হারুন এর বিরুদ্ধে ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে স্থানীয় ভাবে শালিসিবৈঠকের ব্যবস্থা নিলেও যেন নিরব ভুমিকা পালন করছে। আর এ কারনে অসহায় ভুক্তভোগী পরিবারগুলো কোনো বিচার না পেয়ে চরম অনিশ্চয়তায় দিন পার করছে। ভুয়া কাগজপত্র দিয়ে কাতারে পাঠিয়ে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে পিএমখালী ইউনিয়নের আব্দুর রশিদের পুত্র জসিম ও আহাম্মদ কবিরের পুত্র হারুন নামে এই দুই প্রতারকের বিরুদ্ধে।

ভুক্তভোগী পরিবার সুত্রে জানা গেছে, বিগত ২০১৬ সালের ১৭ মার্চ একই ইউনিয়নের আব্দুল খালেক এর পুত্র মোঃ মোরশেদ প্রঃ বাদশাকে কাতারে ভালো কাজ দেওয়ার নাম করে তার নিকট থেকে সাড়ে ৫ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয় এই জসিম-হারুন সিন্ডিকেট। পরবর্তীতে তাকে কাতারে পাঠানো হলেও ইমিগ্রেশন সংক্রান্ত্রে কাগজপত্রে ত্রুটি থাকায় লুকিয়ে লুকিয়ে কিছু সময় দিনাতিপাত করে ধড়া পড়ে দেশে চলে আসেন।
 
বাদশা অভিযোগ করে বলেন, আমাকে কাতারে ভালো কাজ আর মোটা অংকের বেতন দেওয়ার কথা বলে আমার নিকট থেকে সাড়ে ৫ লক্ষ টাকা নিয়ে যায়। আমার শেষ সম্বলটুকু বিক্রি করে ও ধার দেনা করে জসিম-হারুন এর কাছে টাকা দিয়। কিন্তু সে আমাকে কাতারে পাঠালেও তার কথা মতে কোন কাজ দেয়নি বরং কাগজপত্র ঠিক না থাকায় পালিয়ে বেড়িয়ে দিন কাটিয়েছি।

তথ্যনুসন্ধানে জানা গেছে, শুধু মোঃ মোরশেদ প্রঃ বাদশাই নয়, আদম ব্যবসায়ী জসিম-হারুন এর বিরুদ্ধে একই অভিযোগ করেন পিএমখালী ইউনিয়নের আজিজুর রহমানের পুত্র রুহুল আমিন, একই এলাকার সেলিম, ডালিম, ফয়েজ, ঈদগাঁও এর মিরাজ। তারা বলেন, এমন আরো জানা অজানা মানুষ রয়েছে, যাদেরকে প্রলোভন দেখিয়ে কাতার নিয়ে গিয়ে প্রতারণা করেছেন।

জানা গেছে, জসিম-হারুন এলাকার বেশ কিছু বেকার যুবকদের বিদেশে ভালো কাজের প্রলোভন দেখিয়ে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে নিজে আলীশান বাড়ি আর আলীসান জীবন-যাপন করলেও, মানবতা ও হতাশার মধ্যে জীবন-যাপন করছেন বেকার যুবকরা। এমন কি নিঃশ্ব হয়ে পড়েছেন ভুক্তভোগী অসহায় পরিবারের সদস্যরা। এছাড়া সুত্র জানায়, জসিম কাতার থেকে এক ব্যাবসায়ীর বিপুল পরিমান টাকা হাতিয়ে নিয়ে দেশে চলে এসেছে।

এ বিষয়ে হারুন এর ০১৮২৩-৮৭৮০১৬ নাম্বারে ফোন করা হলে তিনি গাড়ীতে থাকায় ১ ঘন্টা পর কল দিবে বলে কেটে দেন। পরে অনেকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও মোবাইল বন্ধ থাকায় কোন বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। এছাড়াও জসিমের ০১৮৪৪-৫৭৬১৯৪ নাম্বারে কয়েকবার কল করা হলেও রিসিভ করেননি।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ