নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
চট্টগ্রামের আনোয়ারায় জায়গা জমির বিরোধের জের ধরে শওকাতুল ইসলাম (৩৫) নামের এক প্রবাসীকে সিনেমা স্টাইলে হত্যার উদ্দ্যেশ্যে তুলে নিয়ে বেদম প্রহার ,মারধর ও আটকিয়ে রেখে জোরপুর্বক জায়গা দখল করার অভিযোগ রয়েছে ভুক্তভোগীর। ভিকটিম আনোয়ারা আইরমঙ্গল ৭ নং ওয়ার্ডের মোঃ সিরাজুল ইসলামের তৃতীয় পুত্র। সে পর্তুগালে বসবাস করে নিউ ইউনিভারসিটি অব লিজবনে ডাটা সাইন্সে অধ্যায়নরত আছেন। জানা যায় গত ১১/১২/১৯ ইং সকাল আনুমানিক ১১.৩০ মিঃ দিকে মোটর সাইকেল যোগে নিজ বাড়ী হতে শহরের উদ্দ্যেশ্যে রওনা হলে পথি মধ্যে প্রতিপক্ষ তার গতিরোধ করে বেআইনি জনতাবদ্ধ হয়ে পুর্বপরিকল্পিত ভাবে হত্যার করার উদ্দ্যেশ্যে প্রতিপক্ষরা তাকে ঘরে তুলে নিয়ে গিয়ে মারধর করে বেধেঁ রাখে । এই খবর জানাজানি হলে তার বড় ভাই খবর পেয়ে মোঃ ছগিরুল ইসলাম বাংলাদেশ - ন্যাশনাল ইমার্জেন্সি সার্ভিস ৯৯৯ - এ ফোন দিয়ে আনোয়ারা থানা পুলিশের সহযোগীতায় ৩ ঘন্টা পর তাকে উদ্ধার করেন।
প্রবাসী শওকাতুল ইসলাম থেকে ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান আমার বাবার ক্রয়কৃত সম্পত্তি এক শ্রেণীর ভূমি দস্যুরা জোর পুবর্ক পূর্ব থেকে জায়গা জমি দখলের পায়তারা করছিল । সাম্প্রতিক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ জোবায়ের আহমেদের সুষ্ঠ তদন্তের মাধ্যমে বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে আমাদের জায়গা জমি পরিমাপ করে সীমানা নির্ধারণ করে দেন । কিন্তু বিবাদীরা মানেনা কোন আইনী সালিশ বিচার । সে বিরোধের জের ধরে মুলত আমাকে হত্যা করার উদ্দ্যেশ্যে পথি মধ্যে সন্ত্রাশী কায়দায় ধরে তুলে নিয়ে গিয়ে মারধর করে, গলায় ছুরি ধরে খালি ষ্টাম্পে সাইন নেওয়ার চেষ্টা করে । সাইন দিতে রাজি না হলে পুনরায় উপর্যুপরি অাঘাত করে একটি রুমে আমাকে আটক করে রাখে। এই অবস্থায় আমার কাছে রক্ষিত নগদ ৭০০০০ (সত্তর) হাজার টাকা , পর্তুগালের ক্রেডিট কার্ড, মটর সাইকেলের যাবতীয় কাগজ পত্র সহ মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয় । বিরোধীয় জায়গার সীমানা পিলার ও কাটাঁ তারের বেড়াঁ তুলে ফেলে । পরে থানা পুলিশের সহায়তায় আমাকে সহ মোবাইল ফোনটি সীম কার্ড ব্যাতিত উদ্ধার করলেও বাকী জিনিস পত্র গুলো উদ্ধার করতে ব্যর্থ হন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ জুবায়ের আহমেদ থেকে জায়গা জমির বিরোধের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান ভিকটিমের জায়গার বিষয়ে অবগত আছি ।আমি নিজেই জায়গা পরিমাপ করে সীমানা নির্ধারণ করে দিয়েছিলাম । গত ১১/১২/১৯ ইং শওকতের উপর হামলার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান আমি এ বিষয়ে অবগত নয় তবে অভিযোগ আসলেই আইনগত ব্যবস্থা নিব।
ঘটনার বিবরণে প্রকাশ। শওকাতুল ইসলামের সাথে প্রতিপক্ষদের জায়গা জমির দীর্ঘদিন বিরোধ চলে আসছিলো । এই বিষয়ে আনোয়ারা থানার অফিসার ইনচার্জ দুলাল মাহমুদ থেকে জানতে চাইলে তিনি জানান জায়গা জমির বিরোধের জের ধরে মুলত ভিকটিমকে আঘাত করা হয়েছে বলে তিনি নিশ্চিত করেন। ঘটনা শুনার পর আমার থানা পুলিশ তাকে উদ্ধার করে নিয়ে এসে আনোয়ারা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ ভর্তি করি । পরে তাকে থানায় নিয়ে আসা হয়। তাৎক্ষনিক কাউকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়নি। মোবাইল ফোনটি কিভাবে উদ্ধার হলো সে বিষয়ে সঠিক কোন ব্যাখ্যা দিতে পারে নি থানা পুলিশ । শওকতের বড় ভাই মো ছগীরুল ইসলাম বাদী হয়ে ১৩ জনকে আসামী করে ও ৭/৮ জন অজ্ঞাতনামা দেখিয়ে মামলা করেন বলে ও জানান। আসামীদের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান তদন্ত সাপেক্ষ দোষি প্রমাণিত হলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। আসামীরা হলেন (১)জাহাঙ্গীর আলম (২৩) পিতা সামশুল আলম (২) আবু তাহের (৪৫) পিতা মৃত এয়াকুব আলী (৩) আবুল হাসেম (৪১) পিতা এয়াকুব আলী (৪) নুরুল আলম(৪৫) পিতা গোলাম শরীফ (৫) সামসুল আলম (৪৮) পিতা গোলাম শরীফ (৬) মোস্তাক আহমেদ (২৫) পিতা আবুল হাশেম(৭) নুর খাতুন (৪২) স্বামী সামশুল আলম (৮) রাবেয়া খাতুন (৩৫)স্বামী আবুল কালাম (৯) কামরুন নাহার( ৩০) স্বামী বদিউল আলম (১০) ,মুছা বুড়ি (৪৫) স্বামী আমির হোসেন (১১) শেরজানি বেগম (৪৭) স্বামী আবুল হাসেম (১২) মোঃ ইয়াছিন (২৬) পিতা আমির হোসেন (১৩) আকতার হোসেন (২০) পিতা আমির হোসেন সর্বসাং আনোয়ারা বটতলী ১ ও আইরমঙ্গল ৭ নং ওয়ার্ড।
0 মন্তব্যসমূহ