৩০ লক্ষ শহীদের আত্মত্যাগের বিনিময়ের এমন একটি স্বাধীন দেশে জন্ম গ্রহণ করে আমি সত্যি গর্বিত। প্রবাদ আছে, স্বাধিনতা অর্জনের চেয়ে রক্ষা করা কঠিন। ঠিক তেমনি স্বাধীনতা রক্ষার ক্ষেত্রে এতটা স্বাধীনতা আদৌও কি খুবই প্রয়োজন?
জানা মতে, ২০০৮ সাল পর্যন্ত জাতীয় পরিচয় পত্রে বিবাহিত নারীদের ক্ষেত্রে স্বামীর নাম উল্লেখ থাকলেও বর্তমান ডিজিটাল যুগে এসে দেখা যায় ভিন্ন চিত্র। জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু’র কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গিকারে ইতিমধ্যে অনেক বৃহৎ বৃহৎ প্রকল্প হাতে নিয়েছে। এরমধ্যে অনেকটা সম্পন্ন হলেও আবার নতুন নতুন প্রকল্পের কাজ শুরু করছেন তিনি। যার কারণে ততদিন বাংলাদেশের প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম তার কাছে ঋণী হয়ে থাকবে, যতদিন রবে পদ্মা মেঘনা বহমান। উন্নত বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে জাতীয় স্মার্টকার্ড এর মত এমন একটি উদ্যোগ সত্যি বাংলাদেশের মত দেশের জন্য অভাবনীয় ব্যাপার।
তবে প্রশ্ন থেকে যায়, জাতীয় স্মার্ট কার্ডে বিবাহিত নারীদের ক্ষেত্রে স্বামীর নাম কেন উল্লেখ থাকবে না? হয়তো আমার প্রশ্নটা ভুল হতে পারে, নিশ্চয় বিশেষজ্ঞরা গবেষণা করেই এমন একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আমি হয়তো তাদের এমন সিদ্ধান্তের কারণ বুঝতে পারছি না। তবে আমার মতে, বিবাহিত নারীদের জাতীয় পরিচয় পত্রে স্বামীর নাম উল্লেখ থাকাটা বর্তমান প্রেক্ষাপটের জন্য জরুরী। কেননা দেশের বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় সহ টিভির পর্দায় দেখা যায়, ঘটে যাওয়া ছোট-বড় অপরাধ সংঘটনে পুরুষের চেয়ে নারীরাও পিছিয়ে নেই। এমনও অনেক ঘটনা ঘটেছে, এক নারী টাকার লোভে পর্যায়ক্রমে বৈবাহিক পরিচয় গোপন রেখে একসাথে কয়েকটা পুরুষের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবধ্য হয়। জাতীয় স্মার্ট কার্ডে স্বামীর নাম উল্লেখ না থাকায় বিবাহিত প্রতারক নারীরা কুমারী সেজে বিভিন্ন কৌশলে পুরুষদেরকে বিবাহর নামে প্রতারিত করে। এমনকি মোটা অংকের টাকাও আদায় করার ঘটনা ভুরি ভুরি। ফলে জাতীয় স্মার্ট কার্ডে বিবাহিত নারীর ক্ষেত্রে স্বামীর নাম উল্লেখ না থাকায় কাজি অফিসেও ধড়া পড়ার কোন সুযোগ থাকে না। তাই এমন প্রতারণার ঘটনা প্রতিনিয়ত মিডিয়ার চক্ষুর আড়ালে কিংবা কিছু সংখ্যক প্রকাশ্যে ঘটে যাচ্ছে। এমনও ঘটনা রয়েছে, স্বামী প্রবাসে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে রক্তবেচা টাকা দিয়ে দেশে পরিবার পরিজনকে ভাল রাখার প্রচেষ্টায়, আর অন্যদিকে স্ত্রী পরপুরুষের সাথে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ছে। আর এমন অবৈধ সম্পর্কের সুবাধে বিভিন্ন পর্যটন স্পটে অবাধ মেলামেশায় লিপ্ত হচ্ছে তারা। কখনো কখনো প্রশাসনের নজরে পড়লে জাতীয় স্মার্ট কার্ড থাকলেও মিথ্যা স্বামী-স্ত্রী পরিচয় দিয়ে পার পেয়ে যায়। তার একমাত্র কারণ, জাতীয় স্মার্ট কার্ডে স্বামীর নাম উল্লেখ না থাকা। এরকম পরিচয় গোপন রেখে কিছুসংখ্যক প্রতারক নারীরা বিভিন্ন অপকর্ম করে চলছে প্রতিনিয়ত। তাই বিবাহিত নারীর জাতীয় স্মার্ট কার্ডে স্বামীর নাম উল্লেখ রাখার জন্য সরকারের কাছে দাবী জানাচ্ছি।
সম্প্রীতি রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে সারা বিশ্বে কল্পনা জল্পনার নেই কোন সীমানা। এদেশে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের কারণে স্থানীয় কিংবা জাতীয় ভাবে চরম প্রভাব পড়ছে এবং দ্রব্যমূল্য স্থানীয় দরিদ্রদের নাগালের বাহিরে চলে যাচ্ছে। তবে আমার মতে একটি মহল এই ইস্যুটা নিয়ে খুবই সন্তুষ্ট। কারণ, তারা মোটা অংকের বেতন পাচ্ছে। এমনও নজির রয়েছে, রোহিঙ্গা এরিয়াতে চাকুরী নেওয়ার পর পরিবার পরিজন সহ স্বামী সংসার ত্যাগ করে অন্য পুরুষের হাত ধরে নিচ্ছে। এমনকি চাকুরীজীবি অনেক অবিবাহিত নারী পুরুষ স্বামী স্ত্রী পরিচয়ে একসাথে বাসা ভাড়া করে থাকে। এক কথায় বিচ্ছেদের মাত্রাটাও দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
জাতীয় পরিচয় পত্র বিহীন বাসা ভাড়া কিংবা আবাসিক হোটেলের রুম ভাড়া না দেওয়ার জন্য নির্দেশনা রয়েছে। প্রশাসনের কড়া নজরদারীকে ফাঁকি দিয়ে কিছু স্বার্থন্বেশি ব্যক্তি এমন অপরাধ প্রতিনিয়ত করে চলছে। যার ফলে এসব বন্ধ করা অসম্ভব হয়ে পড়ছে। তাই আমরা জনগণ সচেতন হয়ে প্রশাসনকে সহযোগিতা করলে এসব অপকর্ম বন্ধ করা অসম্ভব কিছু নয়। আসুন আমরা সবাই মিলে প্রশাসনকে জানা মতে এমন দেশ বিরোধী অপকর্মের তথ্য দিয়ে সোনার বাংলা গড়ি।
লেখক: মোঃ মনছুর আলম (এম আলম)
প্রকাশক- পরিকল্পিত বার্তা।
0 মন্তব্যসমূহ