এন আলম আজাদঃ
রোহিঙ্গা গণহত্যা মামলায় আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে অং সান সু চির বক্তব্যে ক্ষুব্ধ রোহিঙ্গারা। সু চিকে নির্লজ্জ ও মহামিথ্যুক বলে অবিহিত করেছেন তারা।
বুধবার (১১ ডিসেম্বর) বিকালে গণহত্যা মামলার শুনানির দ্বিতীয় দিনে কক্সবাজারের টেকনাফের জাদিমুরা রোহিঙ্গা শিবিরের বাসিন্দারা এ কথা বলেন।
প্রথম দিনের মতো দ্বিতীয় দিন বুধবার আইসিজেতে চলমান শুনানির খবর জানতে বেশিরভাগ রোহিঙ্গার দৃষ্টি ছিল টেলিভিশন, মোবাইল ও রেডিওর দিকে। বাংলাদেশের সময় ৩টার দিকে ক্যাম্পের রোহিঙ্গারা কেউ মোবাইলে, কেউ চায়ের দোকানে খবর দেখতে ভিড় জমান। এ সময় মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলর অং সান সু চি শুনানিতে অংশ নিয়ে গণহত্যা সমর্থন দেয়ার বক্ত্যবের তীব্র সমালোচনা করতে দেখা যায়।
বুধবার বিকালে নেদারল্যান্ডের হেগ-এ শুরু হওয়া মামলার শুনানির দ্বিতীয় দিনের খবর দেখতে টেকনাফের জাদিমুরা রোহিঙ্গা শিবিরের বাসিন্দারা একটি চায়ের দোকানে ভিড় করেন। সেখানে বৃদ্ধসহ বেশকিছু রোহিঙা টিভিতে খবর দেখেন। এ সময় ইংরেজিতে পারদর্শী রোহিঙ্গা যুবকরাও উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া টেকনাফের নয়াপাড়া, শালবন, লেদা উখিয়ার লম্বাশিয়া, জামতলী, মধুরছড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের লোকজন টিভি ও মোবাইলে খবর দেখতে ব্যস্ত ছিল বেশি । কেননা অং সান সু চি কি বলছিল সেটা দেখতে বেশি আগ্রহী ছিল রোহিঙ্গারা।
টিভিতে খবর দেখার সময় রোহিঙ্গা মাঝি মোস্তফা কামাল বলেন, রোহিঙ্গা গণহত্যা বিষয়টি কীভাবে, গণহত্যা বলা যায় না বলে মন্তব্য করলেন অং সান সু চি। মানুষ কত নির্লজ্জ হলে এই কথা বলতে পারে, তা ভেবে পাচ্ছি না। তবে গাম্বিয়া ও বাংলাদেশেকে ধন্যবাদ জানায় রোহিঙ্গারা এই জন্য যে অবেশেষে যে মিয়ানমার সরকারকে কাঠগড়ায় নিয়ে গেছে বিশ্ব।
তিনি বলেন, টিভিতে দেখেছি কীভাবে পেঁচার মতো তাকিয়ে ছিলেন অং সান সু চি। দেখে মনে হলো তিনি কিছুই জানেন না। নিজের স্বার্থে, যত দিন বেঁচে থাকবেন সু চি ততদিন মিয়ানমার সেনাবাহিনীর পক্ষেই নেবেন। এটি খুব সহজে বোঝা গেল। তারপরও আমরা আশা করছি রোহিঙ্গারা সুষ্ঠু বিচার পাবে।
ছোট ভাইকে সঙ্গে নিয়ে নয়াপাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ছোট একটি কসমেটিক দোকানে মোবাইলে খবর দেখছিল মোহাম্মদ আবদুল্লাহ। তিনি বলেন, ‘হেগে গণহত্যা মামলার শুনানি হওয়ায়, আশায় বুক বেঁধেছেন নির্যাতিত রোহিঙ্গারা। ন্যায়বিচার হলে শাস্তি পাবে গণহত্যার সঙ্গে জড়িত মিয়ানমার সেনাবাহিনী। এতে করে নাগরিকত্ব পাওয়াসহ মৌলিক অধিকার নিশ্চিত হলে রোহিঙ্গারা নিজ দেশে ফিরে যেতে রাজি হবে। বুধবার থেকে ক্যাম্পের ইনটারনেট সেবা পাওয়া যাচ্ছে। ফলে গাম্বিয়ার খবরটি রোহিঙ্গারা নাগরিকদের দেখা সহজ হচ্ছে।
রোহিঙ্গা নেতা নুর হোসেন ও মোহাম্মদ কালাম বলেন, রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর আমাদের ওপর যে গণহত্যা চালানো হয়েছে, ধর্ষণ করা হয়েছে, তার শাস্তি তারা পাবে। এর জন্য তারা গত কয়েকদিনে রোহিঙ্গারা ক্যাম্পে ন্যায় বিচারের জন্য রোজা, দোয়া মাহাফিলসহ বিশেষ প্রার্থনা করছে। তাছাড়া রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর বর্বরতার সাক্ষ্য দিতে ভিকটিম হিসেবে গাম্বিয়ার হেগে তিন রোহিঙ্গা নাগরিক হেগে গেছেন। এর মধ্যে দুজন নারী।
তিনি বলেন, রোহিঙ্গা প্রতিনিধিরা সেখানে নির্মম ঘটনাগুলোর বর্ণনা তুলে ধরবে। আমরা আশা করি, আইসিজিতে সঠিক বিচার হবে। বিচার পেলে আমরা স্বেচ্ছায় মিয়ানমার চলে যাব।
আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটসের (এআরএসপিএইচ) ভাইস চেয়ারম্যান আবদুর রহিম বলেন, আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে অং সান সু চির দেওয়া বক্তব্যে মিথ্যাচার এবং সাজানো। কিভাবে রোহিঙ্গাদের ওপর সংগঠিত গণহত্যাকে অস্বীকার করলেন তিনি? বিষষটি আমাদের মর্মাহত করেছে। এতে বুঝেছি আসলে তিনি নির্লজ্জ। আমরা আশা করছি রোহিঙ্গারা বিচার পাবে। এতে মিয়ানমার সরকার ও সেনাবাহিনীর কাঠোর শাস্তি হবে।’
বাংলাদেশ শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের কর্মকর্তা ও টেকনাফের শালবন, জাদিমুরা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ইনচার্জ (উপ-সচিব) মোহাম্মদ খালিদ হোসেন বলেন, আন্তর্জাতিক আদালতে দেওয়া অং সান সু চির বক্ত্যব নিয়ে ক্যাম্পের অভ্যন্তরে রোহিঙ্গাদের কোনো ধরনের কর্মসূচি ছিল না। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে বলেও জানান তিনি।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন বলেন, আন্তর্জাতিক আদালতে বিচারের শুনানি নিয়ে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে যাতে কেউ অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করতে না পারে সেজন্য আমরা সর্তক অবস্থানে রয়েছি।
রোহিঙ্গা গণহত্যা মামলায় আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে অং সান সু চির বক্তব্যে ক্ষুব্ধ রোহিঙ্গারা। সু চিকে নির্লজ্জ ও মহামিথ্যুক বলে অবিহিত করেছেন তারা।
বুধবার (১১ ডিসেম্বর) বিকালে গণহত্যা মামলার শুনানির দ্বিতীয় দিনে কক্সবাজারের টেকনাফের জাদিমুরা রোহিঙ্গা শিবিরের বাসিন্দারা এ কথা বলেন।
প্রথম দিনের মতো দ্বিতীয় দিন বুধবার আইসিজেতে চলমান শুনানির খবর জানতে বেশিরভাগ রোহিঙ্গার দৃষ্টি ছিল টেলিভিশন, মোবাইল ও রেডিওর দিকে। বাংলাদেশের সময় ৩টার দিকে ক্যাম্পের রোহিঙ্গারা কেউ মোবাইলে, কেউ চায়ের দোকানে খবর দেখতে ভিড় জমান। এ সময় মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলর অং সান সু চি শুনানিতে অংশ নিয়ে গণহত্যা সমর্থন দেয়ার বক্ত্যবের তীব্র সমালোচনা করতে দেখা যায়।
বুধবার বিকালে নেদারল্যান্ডের হেগ-এ শুরু হওয়া মামলার শুনানির দ্বিতীয় দিনের খবর দেখতে টেকনাফের জাদিমুরা রোহিঙ্গা শিবিরের বাসিন্দারা একটি চায়ের দোকানে ভিড় করেন। সেখানে বৃদ্ধসহ বেশকিছু রোহিঙা টিভিতে খবর দেখেন। এ সময় ইংরেজিতে পারদর্শী রোহিঙ্গা যুবকরাও উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া টেকনাফের নয়াপাড়া, শালবন, লেদা উখিয়ার লম্বাশিয়া, জামতলী, মধুরছড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের লোকজন টিভি ও মোবাইলে খবর দেখতে ব্যস্ত ছিল বেশি । কেননা অং সান সু চি কি বলছিল সেটা দেখতে বেশি আগ্রহী ছিল রোহিঙ্গারা।
টিভিতে খবর দেখার সময় রোহিঙ্গা মাঝি মোস্তফা কামাল বলেন, রোহিঙ্গা গণহত্যা বিষয়টি কীভাবে, গণহত্যা বলা যায় না বলে মন্তব্য করলেন অং সান সু চি। মানুষ কত নির্লজ্জ হলে এই কথা বলতে পারে, তা ভেবে পাচ্ছি না। তবে গাম্বিয়া ও বাংলাদেশেকে ধন্যবাদ জানায় রোহিঙ্গারা এই জন্য যে অবেশেষে যে মিয়ানমার সরকারকে কাঠগড়ায় নিয়ে গেছে বিশ্ব।
তিনি বলেন, টিভিতে দেখেছি কীভাবে পেঁচার মতো তাকিয়ে ছিলেন অং সান সু চি। দেখে মনে হলো তিনি কিছুই জানেন না। নিজের স্বার্থে, যত দিন বেঁচে থাকবেন সু চি ততদিন মিয়ানমার সেনাবাহিনীর পক্ষেই নেবেন। এটি খুব সহজে বোঝা গেল। তারপরও আমরা আশা করছি রোহিঙ্গারা সুষ্ঠু বিচার পাবে।
ছোট ভাইকে সঙ্গে নিয়ে নয়াপাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ছোট একটি কসমেটিক দোকানে মোবাইলে খবর দেখছিল মোহাম্মদ আবদুল্লাহ। তিনি বলেন, ‘হেগে গণহত্যা মামলার শুনানি হওয়ায়, আশায় বুক বেঁধেছেন নির্যাতিত রোহিঙ্গারা। ন্যায়বিচার হলে শাস্তি পাবে গণহত্যার সঙ্গে জড়িত মিয়ানমার সেনাবাহিনী। এতে করে নাগরিকত্ব পাওয়াসহ মৌলিক অধিকার নিশ্চিত হলে রোহিঙ্গারা নিজ দেশে ফিরে যেতে রাজি হবে। বুধবার থেকে ক্যাম্পের ইনটারনেট সেবা পাওয়া যাচ্ছে। ফলে গাম্বিয়ার খবরটি রোহিঙ্গারা নাগরিকদের দেখা সহজ হচ্ছে।
রোহিঙ্গা নেতা নুর হোসেন ও মোহাম্মদ কালাম বলেন, রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর আমাদের ওপর যে গণহত্যা চালানো হয়েছে, ধর্ষণ করা হয়েছে, তার শাস্তি তারা পাবে। এর জন্য তারা গত কয়েকদিনে রোহিঙ্গারা ক্যাম্পে ন্যায় বিচারের জন্য রোজা, দোয়া মাহাফিলসহ বিশেষ প্রার্থনা করছে। তাছাড়া রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর বর্বরতার সাক্ষ্য দিতে ভিকটিম হিসেবে গাম্বিয়ার হেগে তিন রোহিঙ্গা নাগরিক হেগে গেছেন। এর মধ্যে দুজন নারী।
তিনি বলেন, রোহিঙ্গা প্রতিনিধিরা সেখানে নির্মম ঘটনাগুলোর বর্ণনা তুলে ধরবে। আমরা আশা করি, আইসিজিতে সঠিক বিচার হবে। বিচার পেলে আমরা স্বেচ্ছায় মিয়ানমার চলে যাব।
আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটসের (এআরএসপিএইচ) ভাইস চেয়ারম্যান আবদুর রহিম বলেন, আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে অং সান সু চির দেওয়া বক্তব্যে মিথ্যাচার এবং সাজানো। কিভাবে রোহিঙ্গাদের ওপর সংগঠিত গণহত্যাকে অস্বীকার করলেন তিনি? বিষষটি আমাদের মর্মাহত করেছে। এতে বুঝেছি আসলে তিনি নির্লজ্জ। আমরা আশা করছি রোহিঙ্গারা বিচার পাবে। এতে মিয়ানমার সরকার ও সেনাবাহিনীর কাঠোর শাস্তি হবে।’
বাংলাদেশ শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের কর্মকর্তা ও টেকনাফের শালবন, জাদিমুরা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ইনচার্জ (উপ-সচিব) মোহাম্মদ খালিদ হোসেন বলেন, আন্তর্জাতিক আদালতে দেওয়া অং সান সু চির বক্ত্যব নিয়ে ক্যাম্পের অভ্যন্তরে রোহিঙ্গাদের কোনো ধরনের কর্মসূচি ছিল না। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে বলেও জানান তিনি।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন বলেন, আন্তর্জাতিক আদালতে বিচারের শুনানি নিয়ে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে যাতে কেউ অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করতে না পারে সেজন্য আমরা সর্তক অবস্থানে রয়েছি।
0 মন্তব্যসমূহ