বঙ্গবন্ধুর এক আদর্শ সৈনিক ইসলামপুরের ফরিদুল ইসলাম খাঁনের অজানা কাহিনী

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

কক্সবাজারের নবগঠিত ঈদগাঁও থানার ইসলামপুর ইউনিয়নের জনৈক মৃত মোঃ কালু সওদাগরের পুত্র ফরিদুল ইসলাম খাঁন ছাত্র জীবন থেকে একজন স্বাধীনতার স্বপক্ষের অকুতোভয় সংগ্রামের নাম। যিনি মিনি পাকিস্তান নামে খ্যাত কক্সবাজার সদর উপজেলার ১নং ইসলামপুর ইউনিয়নের অল্প বয়স থেকে বঙ্গবন্ধুর আর্দশবান সৈনিক ছিলেন। ১৯৯০ সালে এরশাদ সরকারের পতনের সময় যার ভুমিকা ছিল তুলনাহীন। ৯০ এর স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের এই অকুতোভয় বীর সেই সময়ে ছাত্রলীগের একজন আর্দশবান কর্মী ছিলেন। এর আগে চট্টগ্রামে ১৯৮৬ সালে স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নাজির হাট কলেজের ছাত্রলীগ কমিটির সাহিত্য বিষয়ক সম্পাদক হিসাবে তার ছাত্র রাজনীতির বর্নিল জীবন শুরু করেন। সেই সময়ে সারা বাংলাদেশের রাজনীতিতে পাকিস্তানি বাহিনীর দূষর ও মাওলানা জাতির কলঙ্ককিত পুরুষ আবুল আলা মওদুদীর রগচটা বাহিনী ছাত্র শিবিরের রমরমা অবস্থান ছিল খুব বেশি। দেশের বেশির ভাগ স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় তাদের দখলে ছিল। সেইসময় এই ফরিদের অন্তরে ছিল বঙ্গবন্ধুর প্রতি নিদারুণ ভালোবাসার ছোঁয়া। তৎ সময়ে ঐ কলেজে দখলদারিত্ব নিয়ে তুমুল মারামারি হয় শিবির আর ছাত্রলীগের মধ্যে। এই ফরিদকে সেসব কুলাঙ্গার শিবির কর্মীরা মারতে মারতে মরে গেছে ভেবে ফেলে রাখে। পরে ভাগ্যক্রমে তিনি প্রাণে বেচে যান। কারণ "রাখে আল্লাহ মারে কে"। পরে লেখা পড়া শেষ করে তিনি নিজ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের হাতেগুনা কিছু সমর্থককে সাথে নিয়ে বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে সু-প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্যে নিরলস পরিশ্রম করে যান। পরে তার এই ত্যাগ ও আওয়ামী পরিবারের প্রতি ভালবাসার নির্দেশন সরূপ ঐ ইউনিয়ন আওয়ামীলীগকে প্রসারিত করার লক্ষ্যে সম্মেলনের মাধ্যমে সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। পালন করেছেন ইসলামপুর ইউনিয়ন যুবলীগের গুরু দায়িত্বও। এই সংগ্রামী বিপ্লবী সাহসী নেতা বর্তমানে কক্সবাজার সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের কৃষি বিষয়ক সম্পাদক হিসাবে দায়িত্বরত আছেন। বর্তমানে তিনি আবারো নিজ ইউনিয়নে সভাপতি হিসাবে প্রার্থীতা ঘোষণা করেছেন।

আগামী ২৩ ই নভেম্বর নবগঠিত ঈদগাহ থানার আওতাধীন ১ নং ইসলামপুরের সম্মেলন ঘোষণা করা হয়েছে। কক্সবাজার সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক কতৃক এই সম্মেলনের নির্ধারিত তারিখ ঘোষণার পর পুরো ইউনিয়ন জুড়ে আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতা কর্মীদের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা আর জল্পনা কল্পনার যেন শেষ নেই। কে হতে চলেছেন আগামীর  ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের কান্ডারী। কার হাতে উড়বে বঙ্গবন্ধুর আর জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ডিজিটাল বাংলাদেশের উন্নয়নের ঝান্ডা। নানা প্রতিকূলতার মুখোমুখি দাঁড়িয়ে কে হতে চলেছেন এই বারের সভাপতি। ইসলামপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা দীর্ঘদিনের বঙ্গবন্ধুর আর্দশের সৈনিক ফরিদুল ইসলাম খাঁন। যার রয়েছে ছাত্র জীবন থেকে আওয়ামী রাজনীতির বর্নিল ইতিহাস। ১৯৭৫ এর পরবর্তী রাজনীতি যখন স্বাধীনতা বিরুধীদের হাতে চলে যায় তখন প্রকৃত স্বাধীনতার স্ব পক্ষের কর্মীরা স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তির কাছে বারংবার লাঞ্চিত হতে থাকে। তাদের সকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় এই ইসলামপুর ইউনিয়নের প্রতিবাদী এক যুবক ছিলেন ফরিদুল ইসলাম খাঁন। সেদিন ফরিদুল ইসলাম খাঁন এর মত সবাই নিজের জীবনকে বাজি রেখে আওয়ামী রাজনীতিকে সু-প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছিলেন বলেই আজ ইসলাম পুরে আওয়ামী রাজনীতি সুপ্রতিষ্ঠিত।