কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের ৪ ইউপি সদস্য ইয়াবা ক্যালেংকারীর দায়ে দীর্ঘদিন ধরে পরিষদে অনুপস্থিত রয়েছে বলে জানা গেছে। এতে নাগরিক সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে এলাকাবাসী। জনসেবার
ব্রত নিয়ে জনগণের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করে ইয়াবার অভিযোগে ইউপি সদস্য নুরুল হুদা, জামাল আহাম্মদ, সামশুল আলম প্রঃ বাবুল ও জামাল উদ্দিন এসব জনপ্রতিনিধিরা
পলাতক ও কারাগারে রয়েছে।
ভেংগে পড়েছে গ্রাম আদালতের বিচার ব্যবস্থা। সেবা ও বিচার প্রার্থীরা অনেকের
দ্বারে দ্বারে ঘুরে থানামুখি হয়েও হয়রানীর
শিকার হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। জানা গেছে, সংশ্লিষ্ট প্রশাসন ইয়াবা অভিযুক্ত জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যাবস্থা নিচ্ছেন। এসব মাদক কারবারীদের বিরুদ্ধে যেকোন সময় আসতে পারে তাদের প্রতিনিধিত্ব বাতিলের ঘোষণা।
টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড এর ইয়াবা ডন পরিবারের সদস্য মেম্বার নুরুল হুদা ইয়াবা মামলায় বর্তমানে কারাগারে রয়েছে। একই পরিষদের ৫নং
ওয়ার্ডের মেম্বার জামাল আহাম্মদ ইয়াবা ক্যালেংকারীতে আত্মসমর্পন করে কারাগারে রয়েছে। ওই পরিষদের ৩নং ওয়ার্ডের মেম্বার শামসুল আলম প্রঃ বাবুল ইয়াবা মামলায় কারাগার থেকে বের হয়ে বর্তমানে পলাতক রয়েছে। ৭নং ওয়ার্ডের মেম্বার জামাল উদ্দিন ইয়াবা মামলা নিয়ে আত্মসমর্পন করে কারাগারে রয়েছে। ওই এলাকায় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কিছু লোকজন জানান, টেকনাফ উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ আলীর বিরুদ্ধে ইয়াবা কারাবারের অভিযোগ রয়েছে। তিনি বর্তমানে হ্নীলা ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের মেম্বার।
এই
বিষয়ে হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আবুল হোসেন এর কাছে
জানতে চাওয়া হলে, তিনিও ইয়াবা অভিযুক্তদের বিচার দাবী করে বলেন, "ইয়াবার সাথে যে কেউ জড়িত থাকুক না কেন কাউকে ছাড় দেওয়া যাবে না। মাদকযুদ্ধে প্রশাসনকে আপ্রাণ সহযোগিতা করব আমরা।" ওই ইউনিয়নে অনুপস্থিত ইউপি সদস্যদের এলাকার মানুষ চরম ভাবে নাগরিক সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এমন পরিস্থিতি থেকে পরিত্রানসহ উপ নির্বাচনের দাবী জানান
এলাকার সচেতন মহল।
পরিকল্পির
কক্সবাজার আন্দোলনের সমন্বয়ক (প্রশাসন) এ্যাডভোকেট রাসিফ আহম্মদ রাসিফ জানান,
স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন, ২০০৯ এর ৩৪ ধারার ৪ এর (ক)/(খ) উপ-ধারা
অনুযায়ী কোন জনপ্রতিনিধি যুক্তিসঙ্গত কারণ ব্যতিরেকে পরিষদের পর পর তিনটি
সভায় অনুপস্থিত থাকিলে এবং পরিষদ বা রাষ্ট্রের স্বার্থের হানিকর কোন
কার্যকলাপে জড়িত থাকিলে অথবা দুর্নীতি বা অসদাচরণ বা নৈতিক স্খলনজনিত কোন
অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হইয়া দণ্ডপ্রাপ্ত হইয়া থাকিলে উক্ত জনপ্রতিনিধি তাহার
স্বীয় পদ হইতে অপসারণযোগ্য হইবেন।
0 মন্তব্যসমূহ