পিরোজপুরের ইন্দুরকানিতে অপহরণের দুই দিন পর এক স্কুলছাত্রের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার দুপুরে পুলিশের কাছে এক কিশোরের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী উপজেলার উমেদপুর গ্রামের খাল থেকে ওই লাশ উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনায়, মোট নয়জনকে আটক করা হয়েছে।
নিহতের নাম সালাউদ্দিন (১৩)। সে পাড়েরহাট রাজলক্ষী স্কুল অ্যান্ড কলেজে সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী ও উমেদপুর গ্রামের ব্যবসায়ী সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে।
আটক নয়জনের মধ্যে ছয়জনই কিশোর। তাদের বয়স ১৪ থেকে ১৫ এর মধ্যে। এদের সবাই শিক্ষার্থী বলে জানা গেছে। অপর তিনজন হলেন, কবির শেখ (৪৫), হাফিজুর হাওলাদার (১৮) ও সাগর মুন্সি (১৮)। আটক সবার বাড়ি পিরোজপুর সদর, ইন্দুরকানি উপজেলা ও বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে।
পুলিশ ও নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, গত শনিবার রাতে সালাউদ্দিন শবে কদরের নামাজ পড়ার জন্য উমেদপুর মসজিদের উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হন। এরপর স্বীকারোক্তি দেওয়া কিশোরসহ কয়েক কিশোর পটকা ফাটানোর কথা বলে সালাউদ্দিনকে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর সালাউদ্দিনকে কোমলপানীয়র সঙ্গে নেশা জাতীয় দ্রব্য পান করায়। একপর্যায়ে সে অচেতন হলে তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে লাশ খালে ফেলে দেয়।
পুলিশ জানায়, ঘটনার পরদিন রোববার সকালে মুঠোফোনে সালাউদ্দিনের বাবার কাছে পাঁচ লাখ টাকা মুক্তিপণ চায় ওই কিশোরসহ তার বন্ধুরা। এরপর সালাউদ্দিনের বাবা ইন্দুরকানি থানায় নিখোঁজের ঘটনায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। পরে রোববার রাত থেকে সোমবার সকাল পর্যন্ত জেলা গোয়েন্দা পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় এই নয়জনকে আটক করে। এদের মধ্যে ওই কিশোর পুলিশের কাছে হত্যাকাণ্ড ও মুক্তিপণ দাবির কথা স্বীকার করে।
সোমবার বিকেল সাড়ে চারটায় পিরোজপুরের ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার মোল্লা আজাদ হোসেন তাঁর কার্যালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, কিছুদিন আগে সালাউদ্দিনের বাবা সিদ্দিকুর রহমান ছয় লাখ টাকায় একটি জমি বিক্রি করেন। এ খবর জানার পর সোহান শেখ কয়েক জন বন্ধুকে নিয়ে সালাউদ্দিনকে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়ের পরিকল্পনা করে।
পুলিশ সুপার আরও বলেন, আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদে ওই কিশোর জানায় সে ভারতীয় টেলিভিশনে প্রচারিত ধারাবাহিক ক্রাইম পেট্রোল দেখে হত্যা ও মুক্তিপণ চাওয়ার পরিকল্পনা করে। এবং ওই ভাবে কাজগুলো করে। হত্যাকাণ্ড ও মুক্তপণ চাওয়ার ঘটনায় জড়িত আটজন কিশোর। এরা ক্রাইম প্যাট্রোল ফলো করে মূলত মুক্তিপণ আদায়ের উদ্দেশ্যে এ কাজটি করে। তবে মুক্তিপণ আদায় করার পর সালাউদ্দিন ওই কিশোরদের নাম প্রকাশ করতে পারে এমন আশঙ্কায় হয়তো তারা তাকে হয়তো হত্যা করে।
নিহতের বাবা সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘কয়েক দিন আগে আমি ছয় লাখ টাকায় জমি বিক্রি করি। অপহরণকারীরা ওই টাকার কথা জেনে আমার ছেলেকে হত্যা করে মুক্তিপণ দাবি করে। আমি ছেলে হত্যার বিচার চাই।’
ইন্দুরকানি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাবিবুর রহমান বলেন, ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ পিরোজপুর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনায় নিহতের বাবা মামলা করবেন। মামলাটি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
নিহতের নাম সালাউদ্দিন (১৩)। সে পাড়েরহাট রাজলক্ষী স্কুল অ্যান্ড কলেজে সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী ও উমেদপুর গ্রামের ব্যবসায়ী সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে।
আটক নয়জনের মধ্যে ছয়জনই কিশোর। তাদের বয়স ১৪ থেকে ১৫ এর মধ্যে। এদের সবাই শিক্ষার্থী বলে জানা গেছে। অপর তিনজন হলেন, কবির শেখ (৪৫), হাফিজুর হাওলাদার (১৮) ও সাগর মুন্সি (১৮)। আটক সবার বাড়ি পিরোজপুর সদর, ইন্দুরকানি উপজেলা ও বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে।
পুলিশ ও নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, গত শনিবার রাতে সালাউদ্দিন শবে কদরের নামাজ পড়ার জন্য উমেদপুর মসজিদের উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হন। এরপর স্বীকারোক্তি দেওয়া কিশোরসহ কয়েক কিশোর পটকা ফাটানোর কথা বলে সালাউদ্দিনকে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর সালাউদ্দিনকে কোমলপানীয়র সঙ্গে নেশা জাতীয় দ্রব্য পান করায়। একপর্যায়ে সে অচেতন হলে তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে লাশ খালে ফেলে দেয়।
পুলিশ জানায়, ঘটনার পরদিন রোববার সকালে মুঠোফোনে সালাউদ্দিনের বাবার কাছে পাঁচ লাখ টাকা মুক্তিপণ চায় ওই কিশোরসহ তার বন্ধুরা। এরপর সালাউদ্দিনের বাবা ইন্দুরকানি থানায় নিখোঁজের ঘটনায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। পরে রোববার রাত থেকে সোমবার সকাল পর্যন্ত জেলা গোয়েন্দা পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় এই নয়জনকে আটক করে। এদের মধ্যে ওই কিশোর পুলিশের কাছে হত্যাকাণ্ড ও মুক্তিপণ দাবির কথা স্বীকার করে।
সোমবার বিকেল সাড়ে চারটায় পিরোজপুরের ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার মোল্লা আজাদ হোসেন তাঁর কার্যালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, কিছুদিন আগে সালাউদ্দিনের বাবা সিদ্দিকুর রহমান ছয় লাখ টাকায় একটি জমি বিক্রি করেন। এ খবর জানার পর সোহান শেখ কয়েক জন বন্ধুকে নিয়ে সালাউদ্দিনকে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়ের পরিকল্পনা করে।
পুলিশ সুপার আরও বলেন, আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদে ওই কিশোর জানায় সে ভারতীয় টেলিভিশনে প্রচারিত ধারাবাহিক ক্রাইম পেট্রোল দেখে হত্যা ও মুক্তিপণ চাওয়ার পরিকল্পনা করে। এবং ওই ভাবে কাজগুলো করে। হত্যাকাণ্ড ও মুক্তপণ চাওয়ার ঘটনায় জড়িত আটজন কিশোর। এরা ক্রাইম প্যাট্রোল ফলো করে মূলত মুক্তিপণ আদায়ের উদ্দেশ্যে এ কাজটি করে। তবে মুক্তিপণ আদায় করার পর সালাউদ্দিন ওই কিশোরদের নাম প্রকাশ করতে পারে এমন আশঙ্কায় হয়তো তারা তাকে হয়তো হত্যা করে।
নিহতের বাবা সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘কয়েক দিন আগে আমি ছয় লাখ টাকায় জমি বিক্রি করি। অপহরণকারীরা ওই টাকার কথা জেনে আমার ছেলেকে হত্যা করে মুক্তিপণ দাবি করে। আমি ছেলে হত্যার বিচার চাই।’
ইন্দুরকানি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাবিবুর রহমান বলেন, ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ পিরোজপুর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনায় নিহতের বাবা মামলা করবেন। মামলাটি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
/প্রথম আলো!
0 মন্তব্যসমূহ