আব্দুল আলীম নোবেলঃ
সর্বনাশা ইয়াবা ব্যবসার সাথে জড়িত থাকার অপরাধে ২২ জনপ্রতিনিধির পদ বাতিলের দাবি তুলেছেন পরিকল্পিত কক্সবাজার আন্দোলন। ইতিমধ্যে এই জনপ্রতিনিধিরা ইয়াবা ব্যবসায় অভিযুক্ত হয়ে আত্মসমর্পণ সহ কারাগারে ও পলাতক রয়েছে। তাদের মধ্যে অনেকে কারাগারে থাকার কারণে স্থানীয় সুবিধাভোগী সাধারণ জনগণ নিয়মিত নাগরিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
সর্বনাশা ইয়াবা ব্যবসার সাথে জড়িত থাকার অপরাধে ২২ জনপ্রতিনিধির পদ বাতিলের দাবি তুলেছেন পরিকল্পিত কক্সবাজার আন্দোলন। ইতিমধ্যে এই জনপ্রতিনিধিরা ইয়াবা ব্যবসায় অভিযুক্ত হয়ে আত্মসমর্পণ সহ কারাগারে ও পলাতক রয়েছে। তাদের মধ্যে অনেকে কারাগারে থাকার কারণে স্থানীয় সুবিধাভোগী সাধারণ জনগণ নিয়মিত নাগরিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন, ২০০৯ এর ৩৪ ধারার ৪ এর (ক)/(খ) উপ-ধারা অনুযায়ী কোন জনপ্রতিনিধি যুক্তিসঙ্গত কারণ ব্যতিরেকে পরিষদের পর পর তিনটি সভায় অনুপস্থিত থাকিলে এবং পরিষদ বা রাষ্ট্রের স্বার্থের হানিকর কোন কার্যকলাপে জড়িত থাকিলে অথবা
দুর্নীতি বা অসদাচরণ বা নৈতিক স্খলনজনিত কোন অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হইয়া
দণ্ডপ্রাপ্ত হইয়া থাকিলে উক্ত জনপ্রতিনিধি তাহার স্বীয় পদ হইতে অপসারণযোগ্য হইবেন বলে পোকখালী ইউপি সচিব নুরুল কাদের নিশ্চিত করেন।
এইসব জনপ্রতিনিধিরা হচ্ছে, কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার
সাবরাং ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মোহাম্মদ জাফর আলম ইয়াবা মামলায় অভিযুক্ত হয়ে এবং ইউপি সদস্য রেজাউল করিম রেজু ও শামসুল আলম
আত্মসমর্পণ করে বর্তমানে কারাগারে রয়েছে ও সদস্য মাহমুদুর রহমান ইয়াবা মামলায় পলাতক রয়েছে।
টেকনাফ সদর ইউনিয়ন পরিষদ
সদস্য আব্দুল্লাহ প্রঃ ইয়াবা ডন দীর্ঘদিন ধরে দেশের বাহিরে পলাতক রয়েছে। ইউপি সদস্য এনামুল হক এনাম ও ওমর হাকিম ইয়াবা মামলায় অভিযুক্ত হয়ে এবং ইউপি সদস্য আব্দুল হামিদ আত্মসমর্পণ করে কারাগারে রয়েছে। বহু বিতর্কিত সাবেক সাংসদ আব্দুর রহমান বদির আপন সহোদর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রাণলয়ের হিট লিস্টে থাকা টেকনাফ পৌরসভার কাউন্সিলর মৌলভী মুজিবুর
রহমান ইয়াবা মামলায় অভিযুক্ত হয়ে পলাতক এবং সাবরাং ইউপি সদস্য দানু মেম্বার ও টেকনাফ পৌরসভার কাউন্সিলর নওশাদ আত্মসমর্পন করে কারাগারে রয়েছে। সম্প্রীতি ইয়াবা সহ আটক হয়ে কারাগারে আছেন টেকনাফ পৌরসভার কাউন্সিলর শাহ আলম প্রঃ ইয়াবা ডন।
হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য বাবুল মেম্বার ইয়াবা মামলায় অভিযুক্ত হয়ে এবং জামাল
হোসেন, নুরুল হুদা ও রাকিব মেম্বার আত্মসমর্পণ করে কারাগারে রয়েছে। হোয়াইক্যং ইউনিয়ন পরিষদের
সদস্য শাহ আলম ইয়াবাসহ আটক হয়ে বর্তমানে জেল হাজতে রয়েছে।
কক্সবাজারের রামু উপজেলার খুনিয়াপালং ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মোস্তাক আহমদ প্রঃ ইয়াবা ডন ইয়াবা মামলায় অভিযুক্ত হয়ে পলাতক রয়েছে। সম্প্রতি আদালতের আদেশে ইউপি সদস্য মোস্তাক আহমদ প্রঃ ইয়াবা ডন এর বাড়ী-ঘর ক্রোক করা হয়।
একাধিক
মামলা নিয়ে মাসের পর মাস বছরের পর বছর কারাগারে রয়েছে কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার পালংখালী ইউনিয়ন
পরিষদ সদস্য বখতিয়ার আহাম্মদ প্রঃ ইয়াবা ডন। সম্প্রতি বিজ্ঞ আদলত তাকে ইয়াবা মামলায় ১৪ বছর সাজা দেন। পলাতক রয়েছে একই পরিষদের সদস্য
জয়নাল আবেদীন ও নুরুল আমিন। যদিও ওই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গফুর উদ্দিন তার এই তিন সদস্যের ইয়াবা ব্যবসার অভিযোগটি অস্বীকার করেন।
পরিকল্পিত কক্সবাজার আন্দোলনের নেতৃবৃন্দরা জানান, বছরের পর বছর এইসব ইয়াবা কেলেংকারীতে জড়িত জনপ্রতিনিধিরা পলাতক ও কারাগারে থাকার কারণে সাধারণ
মানুষ নাগরিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। জেলা প্রশাসক ও জেলার ডেপুটি কমিশনার চাইলে
ইউনিয়ন পরিষদ বিধি অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে
পারেন। একই সাথে বিষয়টি কক্সবাজার জেলা পুলিশ সুপার সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি দেওয়া একান্ত প্রয়োজন মনে করছেন সচেতন এলাকাবাসী। এছাড়াও জেলা জুড়ে একাধিক ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্য মাদকের সাথে জড়িত থাকলেও কোন ভাবে আইনের আওতায় আসছে না।
0 মন্তব্যসমূহ