ভারতের রাজধানী শহর দিল্লিতে এখন থেকে মেট্রো রেল ও সরকারি বাসের মতো গণপরিবহনে মহিলারা বিনা পয়সায় চড়তে পারবেন।
দিল্লিতে আম আদমি পার্টির সরকারের মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল এদিন এই নাটকীয় ঘোষণা করে জানিয়েছেন, মহিলারা যাতে দিল্লিতে নিরাপদে যাতায়াত করতে পারেন - সেই লক্ষ্যেই এই নজিরবিহীন সিদ্ধান্ত।
দিল্লির মহিলা নিত্যযাত্রীরা অনেকেই এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাচ্ছেন, অনেকে আবার আশঙ্কা করছেন - এতে মেট্রো ও বাসে ভিড় অনেক বেড়ে যাবে এবং শেষ পর্যন্ত বিশেষ কোনও লাভ হবে না।
সারা দুনিয়ায় যে বড় শহর বা মেট্রোপলিসগুলো নারীদের জন্য সবচেয়ে বিপজ্জনক, সেই তালিকা বা জরিপে প্রায় নিয়ম করে শীর্ষস্থানটি অনেক বছর ধরে দিল্লির দখলে।
কিন্তু দিল্লির রাজ্য সরকার এখন বলছে, ভারতের রাজধানী শহর মেয়েদের জন্য একেবারেই নিরাপদ নয়, এই ছবিটা পাল্টানোর লক্ষ্যেই তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছে শহরের মেট্রো রেল ও সরকারি বাসে চড়ার জন্য মহিলাদের এখন থেকে কোনও পয়সাই খরচ করতে হবে না।
মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল বলছেন, "গণপরিবহন বা পাবলিক ট্রান্সপোর্টকেই যেহেতু সবচেয়ে সুরক্ষিত বলে মানা হয় তাই আমাদের সরকার বাসে ও মেট্রো রেলে মেয়েদের ভাড়া পুরোপুরি তুলে দিচ্ছে।"
"আমরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি যাতে মেয়েরা আরও বেশি করে ও নিশ্চিন্তে গণপরিবহন ব্যবহার করতে পারে, আর এতদিন যারা বেশি ভাড়ার জন্য মেট্রো বা ডিটিসিরি বাসে চড়তে পারছিলেন না তারাও যাতে এই সুযোগগুলো ব্যবহার করতে পারেন।"
দিল্লি সরকার আজ এই যে সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেছে পৃথিবীর আর কোনও বড় শহরেই সে ধরনের ব্যবস্থা নেই।
এই অভিনব ব্যবস্থা চালু করতে দিল্লি সরকারকে চলতি অর্থ বছরেই প্রায় সাতশো কোটি রুপি ভর্তুকি গুণতে হবে বলে তারা হিসেব করেছে।
এই ভর্তুকির বোঝা কিছুটা কমাতে মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়াল এই অনুরোধও করেছেন যে যাদের সঙ্গতি আছে সেই নারীরা যেন টিকিট কেটেই মেট্রো বা সরকারি বাসে চাপেন।
দিল্লিতে আম আদমি পার্টির সরকারের মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল এদিন এই নাটকীয় ঘোষণা করে জানিয়েছেন, মহিলারা যাতে দিল্লিতে নিরাপদে যাতায়াত করতে পারেন - সেই লক্ষ্যেই এই নজিরবিহীন সিদ্ধান্ত।
দিল্লির মহিলা নিত্যযাত্রীরা অনেকেই এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাচ্ছেন, অনেকে আবার আশঙ্কা করছেন - এতে মেট্রো ও বাসে ভিড় অনেক বেড়ে যাবে এবং শেষ পর্যন্ত বিশেষ কোনও লাভ হবে না।
সারা দুনিয়ায় যে বড় শহর বা মেট্রোপলিসগুলো নারীদের জন্য সবচেয়ে বিপজ্জনক, সেই তালিকা বা জরিপে প্রায় নিয়ম করে শীর্ষস্থানটি অনেক বছর ধরে দিল্লির দখলে।
কিন্তু দিল্লির রাজ্য সরকার এখন বলছে, ভারতের রাজধানী শহর মেয়েদের জন্য একেবারেই নিরাপদ নয়, এই ছবিটা পাল্টানোর লক্ষ্যেই তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছে শহরের মেট্রো রেল ও সরকারি বাসে চড়ার জন্য মহিলাদের এখন থেকে কোনও পয়সাই খরচ করতে হবে না।
মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল বলছেন, "গণপরিবহন বা পাবলিক ট্রান্সপোর্টকেই যেহেতু সবচেয়ে সুরক্ষিত বলে মানা হয় তাই আমাদের সরকার বাসে ও মেট্রো রেলে মেয়েদের ভাড়া পুরোপুরি তুলে দিচ্ছে।"
"আমরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি যাতে মেয়েরা আরও বেশি করে ও নিশ্চিন্তে গণপরিবহন ব্যবহার করতে পারে, আর এতদিন যারা বেশি ভাড়ার জন্য মেট্রো বা ডিটিসিরি বাসে চড়তে পারছিলেন না তারাও যাতে এই সুযোগগুলো ব্যবহার করতে পারেন।"
দিল্লি সরকার আজ এই যে সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেছে পৃথিবীর আর কোনও বড় শহরেই সে ধরনের ব্যবস্থা নেই।
এই অভিনব ব্যবস্থা চালু করতে দিল্লি সরকারকে চলতি অর্থ বছরেই প্রায় সাতশো কোটি রুপি ভর্তুকি গুণতে হবে বলে তারা হিসেব করেছে।
এই ভর্তুকির বোঝা কিছুটা কমাতে মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়াল এই অনুরোধও করেছেন যে যাদের সঙ্গতি আছে সেই নারীরা যেন টিকিট কেটেই মেট্রো বা সরকারি বাসে চাপেন।
দিল্লির নারীদের প্রতিক্রিয়া কী?
এদিকে তার আজকের ঘোষণার পর দিল্লির বারাখাম্বা রোড মেট্রো স্টেশনের বাইরে সব মহিলা যাত্রীকে কিন্তু উচ্ছ্বসিত দেখা গেল না।
কেউ যেমন সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাচ্ছেন, কিন্তু একই সঙ্গে বলছেন, "এর একটা নেতিবাচক প্রভাবও পড়বে। কারণ মেট্রোতে এখনই এত ভিড় হয়, এখন তো ভিড় আরও অনেক বেড়ে যাবে - হয়তো ওঠাই যাবে না।"
কেউ আবার বলছেন, "কেজরিওয়াল এত বড় সুবিধা আমাদের দিলেন - অবশ্যই তাতে বিরাট সুবিধা হবে। আমরা হয়তো অনেক বেশি সুরক্ষিতও বোধ করব।"
কারও আবার মত হল, "মেয়েদের ফ্রি রাইড দিলেও লাভ নেই, না-দিলেও লাভ নেই। সামনের বছর দিল্লিতে ভোট, তার আগে এটা কেজরিওয়ালের মাস্টারস্ট্রোক ছাড়া কিছুই নয়।"
কলেজছাত্রী নেহা শর্মা আবার মনে করছেন, "দেখবেন এই সিদ্ধান্তের অপব্যবহার হবে - কেউই হয়তো এখন আর টিকিট কাটবে না।"
ফলে দিল্লি সরকারের সিদ্ধান্তে সাধারণ নারীদের প্রতিক্রিয়া মোটামুটি মিশ্রই বলা যেতে পারে।
এদিকে তার আজকের ঘোষণার পর দিল্লির বারাখাম্বা রোড মেট্রো স্টেশনের বাইরে সব মহিলা যাত্রীকে কিন্তু উচ্ছ্বসিত দেখা গেল না।
কেউ যেমন সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাচ্ছেন, কিন্তু একই সঙ্গে বলছেন, "এর একটা নেতিবাচক প্রভাবও পড়বে। কারণ মেট্রোতে এখনই এত ভিড় হয়, এখন তো ভিড় আরও অনেক বেড়ে যাবে - হয়তো ওঠাই যাবে না।"
কেউ আবার বলছেন, "কেজরিওয়াল এত বড় সুবিধা আমাদের দিলেন - অবশ্যই তাতে বিরাট সুবিধা হবে। আমরা হয়তো অনেক বেশি সুরক্ষিতও বোধ করব।"
কারও আবার মত হল, "মেয়েদের ফ্রি রাইড দিলেও লাভ নেই, না-দিলেও লাভ নেই। সামনের বছর দিল্লিতে ভোট, তার আগে এটা কেজরিওয়ালের মাস্টারস্ট্রোক ছাড়া কিছুই নয়।"
কলেজছাত্রী নেহা শর্মা আবার মনে করছেন, "দেখবেন এই সিদ্ধান্তের অপব্যবহার হবে - কেউই হয়তো এখন আর টিকিট কাটবে না।"
ফলে দিল্লি সরকারের সিদ্ধান্তে সাধারণ নারীদের প্রতিক্রিয়া মোটামুটি মিশ্রই বলা যেতে পারে।
নারীদের বিষয় নিয়ে লেখালেখি করেন দিল্লিতে বিবিসির সাংবাদিক প্রিয়াঙ্কা দুবে, তিনি কিন্তু মনে করছেন নারীদের ক্ষমতায়নের জন্য এটা এক দারুণ পদক্ষেপ।
মিস দুবে বলছিলেন, "দিল্লির মধ্যবিত্ত ও নিম্নমধ্যবিত্ত নারীরা, এমন কী দেশের নানা প্রান্ত থেকে আসা অভিবাসী নারী শ্রমিকরাও এর ফলে এখন থেকে মেট্রো বা ডিটিসির আধুনিক এয়ারকন্ডিশন্ড বাসে চড়তে উৎসাহিত হবেন তাতে কোনও সন্দেহ নেই।"
"তাদের যাতায়াতের সুযোগও অনেক বাড়বে। হ্যাঁ, অবশ্যই এটা হয়তো নির্বাচনকে মাথায় রেখে একটা রাজনৈতিক পদক্ষেপ, কিন্তু তারপরও আমি বলব নারীদের ক্ষমতা দিতে এটা সঠিক পদক্ষেপ!"
আগামী বছর দিল্লির ভোটে এই সিদ্ধান্ত আম আদমি পার্টিকে কোনও রাজনৈতিক সুফল দেবে কি না তা এখনই বলা মুশকিল ।
কিন্তু রাজধানীর সামাজিক ল্যান্ডস্কেপে এটা অচিরেই বিরাট পরিবর্তন এনে দিতে পারে বলে বিশেষজ্ঞদের ধারণা।
মিস দুবে বলছিলেন, "দিল্লির মধ্যবিত্ত ও নিম্নমধ্যবিত্ত নারীরা, এমন কী দেশের নানা প্রান্ত থেকে আসা অভিবাসী নারী শ্রমিকরাও এর ফলে এখন থেকে মেট্রো বা ডিটিসির আধুনিক এয়ারকন্ডিশন্ড বাসে চড়তে উৎসাহিত হবেন তাতে কোনও সন্দেহ নেই।"
"তাদের যাতায়াতের সুযোগও অনেক বাড়বে। হ্যাঁ, অবশ্যই এটা হয়তো নির্বাচনকে মাথায় রেখে একটা রাজনৈতিক পদক্ষেপ, কিন্তু তারপরও আমি বলব নারীদের ক্ষমতা দিতে এটা সঠিক পদক্ষেপ!"
আগামী বছর দিল্লির ভোটে এই সিদ্ধান্ত আম আদমি পার্টিকে কোনও রাজনৈতিক সুফল দেবে কি না তা এখনই বলা মুশকিল ।
কিন্তু রাজধানীর সামাজিক ল্যান্ডস্কেপে এটা অচিরেই বিরাট পরিবর্তন এনে দিতে পারে বলে বিশেষজ্ঞদের ধারণা।
/বিবিসি বাংলা।
0 মন্তব্যসমূহ