সুন্দরী ছাত্রীরা নিয়মিত ধর্ষণের শিকার হত শিক্ষক রবিউলের হাতে
ছাত্রীর সাথে শিক্ষক রবিউলের অন্তরঙ্গ দৃশ্য। |
ডেস্ক রিপোর্টঃ
ক্লাস সেভেনে উঠতেই নিজের ছাত্রীদেরকে টার্গেট করত রবিউল। সুন্দরী ও দরিদ্র ছাত্রীরাই ছিল তার বাছাইয়ের ক্যাটাগরি। পড়াশুনাতে সাহায্য করার নামে তাদের বাড়িতে নিয়ে যেত সে। শুধু তাই নয়, আর্থিকভাবে স্বচ্ছল নয় এমন মেয়েদের জন্য বাড়িতে খাবারেরও ব্যবস্থা করত রবিউল। নানাভাবে মন জয় করাই প্রাথমিক লক্ষ ছিল রবিউলের। এরপর নানাভাবে প্রথমে ধর্ষণ এবং সেসব দৃশ্য ভিডিও তুলে রাখত বলে অভিযোগ।
এরপর মাসের পর মাস ধরে কিশোরী মেয়েদের উপর চলতো রবিউলের নির্যাতন। ভিডিও প্রকাশ হয়ে পড়ার ভয়ে দরিদ্র ঘরের অল্প বয়সী মেয়েরা তাদের শিক্ষক রবিউলের মর্জি মত চলতে বাধ্য হত বলে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ।
মাদারীপুরের শিবচরের উমেদপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে গত কয়েক বছর ধরে চলছিল এই শিক্ষকের এমন ধর্ষণযজ্ঞ। সম্প্রতি নির্যাতিত এক ছাত্রী মুখ খোলার পর হাওয়া হয়ে গেছে এই সিরিয়াল ধর্ষক। রবিউলের অপকর্ম জানাজানি হওয়ার পর দেড়মাস পার হলেও স্কুল কর্তৃপক্ষ, আইনশৃংখলা বাহিনী কেউই যেন তার নাগাল পাচ্ছে না!
জানা যায়, রবিউল ইসলাম উমেদপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। ৫ম ও ৮ম শ্রেণিতে ট্যালেন্টপুলে বৃত্তিপ্রাপ্ত একই বিদ্যালয়ের এক দরিদ্র মেধাবী সুন্দরী ছাত্রীর প্রতি সে ৭ম শ্রেণি থেকে বিশেষ খেয়াল রাখতো। শিক্ষকের কাছ থেকে সহযোগিতা পাওয়ায় ওই ছাত্রী সহজেই রবিউলের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়ে। ক্লাসের এক নম্বর রোল থাকা ছাত্রীটিকে আরও ৪/৫ জন শিক্ষার্থীর সঙ্গে রবিউল তার বাড়িতে নিয়ে খাওয়াত ও পড়াত। বাড়িতে কেউ না থাকার সুবাদে অভিযুক্ত রবিউল দিনের পর দিন ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করে।
শুধু তাই নয়, সেই দৃশ্য ভিডিওতে ধারণ করে রাখে। এরপর থেকেই সুযোগ বুঝে ছাত্রীটিকে তার বাড়িতে ডাকত। কিশোরী মেয়েটি রাজি না হলে আগের ভিডিও প্রকাশ করে দেওয়ার ভয় দেখাত। পাশাপাশি বিয়ের প্রলোভনও দিত। এভাবেই অসহায় মেয়েটির সঙ্গে নিয়মিত শারীরিক সম্পর্ক গড়ে শুরু করে রবিউল।
ভুক্তভোগী মেয়েটির অভিযোগ, এর মধ্যে একাধিকবার গর্ভপাতের ঘটনাও ঘটানো হয়। কয়েক মাস তার সঙ্গে এভাবে চলার পর অন্য ছাত্রীদের বাড়িতে আনা দেখে আপত্তি করে মেয়েটি। এক পর্যায়ে সে জানতে পারে স্কুলের আরো কয়েকজন ছাত্রীকে রবিউল একই কায়দায় সম্পর্কে জড়াতে বাধ্য করেছে। এসব জেনে ছাত্রীটি সম্পর্ক ছিন্ন করতে চাইলে তাকে আবারও ভয়-ভীতি দেখায় রবিউল। এভাবে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত প্রায় দুই বছর ধরে রবিউল ওই ছাত্রীর সঙ্গে জোরপূর্বক শারিরীক সম্পর্ক অব্যাহত রাখে। বর্তমানে সে দশম শ্রেণিতে অধ্যায়নরত।
ইতিমধ্যে স্থানীয় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। কিন্তু ঘটনার পর থেকেই সে এলাকা ছাড়া। ইতিমধ্যে অভিযুক্তের খোঁজে শুরু হয়েছে তল্লাশি।
/ডায়মন্ড নিউজ ২৪।
0 মন্তব্যসমূহ